নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নাটোর গুরুদাসপুরে হত্যা মামলার দুই আসামী ভারতে পালানোর সময় সীমান্ত এলাকা থেকে আটক হয়েছে। রাজশাহী র্যাব-৫ এর সদস্যরা সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকেব নাটোর জেলার গুরুদাসপুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাদের আটক করে র্যাব।
আটককৃতরা হলো ইউসুফ আলী (৬০) ও শিপন (২০)। আটককৃত দুজন গুরুদাসপুর মশিন্দা বাহাদুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মামলার বাদি রুবেল আহমেদের বোন মৃতা সীমা খাতুনের (২৮) ১২ বছর পূর্বে ধ ইউসুফ প্রাং (৬০) এর ছেলে রতন আলীর (২৮) সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মামলার আসামীসহ অন্যান্যরা বিভিন্ন সময়ে সীমা খাতুনকে শারীরিক নির্যাতন করত। উক্ত বিষয়ে একাধিকবার শালিস দরবার হলেও আসামীগণ কোন কর্ণপাত না করে সীমা খাতুনকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। গত ২৮ আগষ্ট দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামীগণ পরস্পর যোগসাজসে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাদীর বোন সীমা খাতুনকে গালি গালাজ করে। সীমা খাতুন আসামীদের গালি গালাজ করতে নিষেধ করলে ইউসুফ প্রাং (৬০) ও শিপন প্রাংসহ অন্যন্যরা সিমা খাতুনকে এলোপাথারীভাবে মারপিঠ করে গুরুতর জখম করে।
মারপিটের ফলে সীমা খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক হলে দ্রুত সীমা খাতুনকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে চিকিৎসা করে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে নিয়ে আসার কিছু সময় পর সীমা খাতুন বমি করতে থাকলে সীমা খাতুন কীটনাশক জাতীয় গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়েছে এই মর্মে প্রচার করে পুনরায় সীমা খাতুনকে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়।
সীমা খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সীমা খাতুনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। পরে ২৮ আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সীমা খাতুন মারা যান। পরে মৃত সীমা খাতুনের ভাই বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর হতেই আসামীরা গাঁ ঢাকা দেয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাবের কোম্পানী অধিনায়ক, সিনিয়র সহকারি পরিচালক, সন্জয় কুমার সরকার এবং কোম্পানী উপ-অধিনায়ক, সহকারি পুলিশ সুপার, নুরল হুদার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর সীমান্তবর্তী এলাকা তাদেও দুজনকে আটক করে। পওে তাদেও গুরুদাসপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।