July 4, 2025, 8:24 am

News Headline :
রাজশাহী প্রেসক্লাবের কথিত সভাপতি ‘জুলু’ সেনা অভিযানে গ্রেফতার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসরদের অপসারনের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান রাজশাহী প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হলেন গোলাম মোস্তফা মামুন রাজশাহীতে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা দলের নেতাকে লাথি, এনসিপির রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কারীকে অব্যাহতি রথ মেলায় এবার যুবদল সদস্য সুইটের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ বরিশালে রিক্সা চালকদের মাঝে ছাত্রনেতা মাসুম’র রেইনকোর্ট বিতরণ বিভাজন নয়, সাংবাদিকতা হোক একতার হাতিয়ার রাজশাহীর তাহেরপুরে এক শিশুকে গণধর্ষণ
জনদুর্ভোগ আরোও চরম আকার ধারণ করবে

জনদুর্ভোগ আরোও চরম আকার ধারণ করবে

 

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের সভাপতি ড. গোলাম রহমান বলেছেন, সরকার চেষ্টা করছে নিয়ন্ত্রিত লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে জ্বালানি ব্যয় কমাতে, অর্থাৎ সাশ্রয়ী হতে। এটাকে তো ভালো বলা যায় না। এরমধ্যেই জ্বালানির দাম বাড়ল। এখন দুর্ভোগ আরও চরম আকার ধারণ করবে। সবকিছুতেই এর প্রভাব পড়বে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় আরও নাভিশ্বাস হয়ে উঠবে।

ক্যাব সভাপতি বলেন, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করায় সব জিনিসপত্রের দাম আবারও চড়া হয়ে যেতে পারে। সাধারণ ভোক্তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। বিশেষ করে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষজনের দুর্ভোগ বাড়বে। শিল্প উৎপাদন, পরিবহণ খাত সবকিছুতে এর প্রভাব পড়বে। এতে করে একটা ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এদিকে ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। যার ফলে টাকায় আমদানিকৃত জ্বালানির দাম আরও বেশি পড়ছে। সংকট এখন চারদিকে। আসলে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে হচ্ছে কি না তা সরকারের দেখা উচিত।

গোলাম রহমান আরও বলেন, এর আগে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছিল সরকার। তখন দেখা গেছে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে পরিবহণ খাতে প্রভাবটা সবচেয়ে বেশি পড়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য সব জিনিসের দামও বেড়েছে। এখন জ্বালানির দাম বাড়ায় স্বাভাবিকভাবে দুর্ভোগ বাড়বে। তবে এটাও ঠিক বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য অনেক বেড়েছে। এ কারণে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণও হয়তো বেড়েছে। সরকার যেভাবে দাম বৃদ্ধি করল, সেটি ঠিক হলো না।

রাজধানীর রায়েরবাগে বাসের জন্য দাড়িয়ে থাকা মিরাজ নামে এক যুবক জানান, প্রতিদিন এই সড়কে পর্যাপ্ত গণপরিবহনের দেখা মিললেও আজ এক-তৃতীয়াংশ বাসেরও দেখা মিলছে না। ঢাকা মেডিকেলের তৃতীয় শ্রেণির এই কর্মচারী বলেন, আমার ডিউটি শুরুর সময় সকাল আটটা। ইতিমধ্যে নয়টা বাজতে চললো। তবুও এখনও কোনো গণপরিবহনের দেখা পাচ্ছি না।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সুমাইয়া নামের এক নারী যাত্রী জানান, অফিস শুরুর সময় সকাল সাড়ে আটটা। আমাকে যেতে হবে বাড্ডায়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পরিবহনের দেখা পেলাম না। অনেকক্ষন পর দুই-একটা বাস চোখে পড়লেও সেগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। পাঠাও বা উবারে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে এখন।

যাত্রীদের আশঙ্কা, শনিবার অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সড়কে যেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, তার কোনো সমাধান অতি দ্রুত করা না গেলে রোববার থেকে সেই ভোগান্তির পরিমাণ আরও বাড়বে।সুত্র: যুগান্তর

Please Share This Post in Your Social Media

ads

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.