নিজস্ব প্রতিবেদক: হাইকোর্টের রায় পেয়ে দীর্ঘদিন পর নিজ কর্মস্থলে আসেন কেশরহাট ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন।
২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় অফিস করতে কলেজে আসলে অধ্যক্ষকে ফুলেল শুভেচছা জানিয়েছেন শিক্ষক, কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীরা। এসময় কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে অধ্যক্ষ সবার সাথে কুশল বিনিময় করেন।
কুশল বিনিময় শেষে অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন তার অফিস কক্ষে বসতে গেলে কক্ষটি তালাবদ্ধ পান। তালা খুলে দেওয়ার জন্য অফিস পিয়নকে বললে পিয়ন জানায় চাবিটি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক হেনার কাছে আছে। চাবির জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ফোন করা হলে তিনি জানান, ব্যক্তিগত কাজে তিনি বাড়িতে আছেন এক ঘন্টা পরে আসবেন। পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক হেনা বলেন,কলেজ অধ্যক্ষের অফিস কক্ষের চাবি সভাপতি এ্যাড.আব্দুস সালামের কাছে আছে।
চাবিটি কলেজ সভাপতি মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড.আব্দুস সালাম এর কাছে আছে কি না? তা জানতে গণমাধ্যমকর্মীরা ফোন দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি। এব্যাপারে কলেজ সভাপতির বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
অধ্যক্ষের অফিস কক্ষের তালা খুলে না দেওয়ায় অধ্যক্ষ শিক্ষকদের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কলেজ মাঠে অবস্থান করেন এবং বাড়িতে ফিরে যান। এঘটনায় শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
উল্লেখ্য: বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে জানাগেছে, কলেজে নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কলেজ সভাপতি ও মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড.আব্দুস সালাম কলেজ অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিনকে সাময়িক বহিষ্কার করেন এবং নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার জোরে অত্র কলেজের শিক্ষক আনোয়ারুল হক হেনাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দ্বায়িত্ব দেন। অধ্যক্ষকে বাদ দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে নিয়োগ আটকে যায়। ঘটনাটি আদালতে গড়ালে মহামান্য হাইকোর্ট অধ্যক্ষের পক্ষে রায় দেন।