নিজস্ব প্রতিবেদক: এইচআরডির সক্রিয় সদস্য তাদের নিয়ে নেতৃত্ব বিষয়ক ৩ দিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে তাদের নেতৃত্ব দেয়ার গুনাবলী, দক্ষতা ও সৃজনশীল মনন নিয়ে যেন প্রান্তিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দিতে পারে সেজন্যই এমন একটি আয়োজন করেছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থ আইইডি (Institute for Environment and Development )।
২৭ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত উক্ত প্রশিক্ষণটি রাজশাহী নগরীর এনজিও ফোরাম কনফান্সে রুমে ২০ জন এইচআরডিদের নিয়ে ৩ দিনব্যাপী নেতৃত্ব বিষয়ক এই কর্মশালা চলবে।
উক্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী খাঁন।
এই ট্রেনিংয়ে আরো অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এইচআরডি রাজশাহীর প্রাক্তন সদস্য শিউলি মার্ডী ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ঢাকা কমিটির দপ্তর সম্পাদক নিরলা মার্ডী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী খাঁন বক্তেব্যে বলেন, আমাদের একজন পরিশ্রমী মানুষ হতে হবে। সৃস্টি কর্তা আমাদের গিফ এন্ড টেক হিসেবে পাঠিয়াছে। ঠিক আমাদেরও এমনটি হতে হবে ।
তিনি একটি কবিতার লাইন বলেন ‘ও মোর ললিতা দেখাও মোর পলিতা যাই মোর তমিশ্রা পার হইয়া’ অর্থাৎ আমাদের অন্ধকার যে ঘোর রয়েছে সেটিকে প্রদিপের আলোর মাধ্যমে দূর করতে হবে।
আমাদের নেতৃত্ব হতে হবে ঠিক এই ধরণের। যেন আমাদের নেতৃত্বের মাধ্যমে অন্যরা মুক্তি পাই। আর নেতৃত্বে আমাদের জ্ঞান যেটুকুই থাকুন না কেন আমাদের সাহস হতে হবে শতভাগ। তাহলেই হবে আসল নেতৃত্ব।
আমরা মাদকে না বলে এমন একজন নেতা হবো যেখানে প্রান্তিক অবস্থা থেকে সৎ, সামাজিক ও যোগ্য নেতা হয়ে সকলের ভালো ও মঙ্গলের জন্য কাজ করবো। এবং নেতৃত্বের যে বড় গুণ সেটি হলো সময়।
যেই কাজ করি না কেন আমাদের সময়ানুবর্তী হতে হবে এবং প্রচুর পড়তে হবে ও জানতে হবে আমাদের বিশ^মন্ডল ও নানা মনিষিদের। তাহলেই আমারা একজন শ্রেষ্ঠ নেতা হতে পারবো।
প্রশিক্ষণার্থীরা বলেন, এই প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান দিয়ে পরবর্তীতে নতুন কার্যক্রম শুরু করতে পারবো এবং নিজ এলাকায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য ও বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য নানা সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করতে পারবো স্থানীয় উপজেলা অথবা কাউন্সিলর কার্যালয়ে থেকে এমটা মনে করি।
যার মাধ্যমে আগামীতে শিক্ষা সহায়তা ও কর্মক্ষেত্রে সুযোগ পাবে ঝরে পড়া ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। এই সকল কিছুর জন্য আইইডিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সেই সাথে এমন প্রশিক্ষণ বছরে দুইবার করা হোক এমনটি প্রত্যাশা করছি। তাহলে আমাদের নেতৃত্বদেয়ার যে গুণাবলী রয়েছে তা আরো বৃদ্ধি পাবে।
প্রশিক্ষণ পরিচালক হরেন্দ্রনাথ শিং তার বক্তব্যে বলেন, পরিবার, সমাজ, জাতিগোষ্ঠী ও রাষ্ট্রের গন্ডি পেরিয়ে জেন এইচআরডির সদস্যরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দিতে পারে।
যেমনটি দেখেছি আমাদের এইচআরডি একজন নোবেল বিজয়ী মামালা ইসুফজাই জিনি শিক্ষার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন আমি চাই এমন ভাবেই আমাদের এইচআরডির সদস্যরা সংগ্রাম করবে ও নেতৃত্ব দিবে।
আমরা দীর্ঘদিন থেকে এই ধরণের দক্ষতা উন্নয়ন ও নানা কর্মমূখী শিক্ষার কাজ করে যাচ্ছি এইচআরডিদের সাথে। তাদের প্রান্তিক পর্যায় থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে আইইডি। তাদের এমন কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই।
আর প্রত্যাশা করি প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালার মাধ্যমে আরো দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত হবে বলে বক্তব্য দেন আইডি রাজশাহীর ফেলো আন্দ্রিয়াস বিশ্বাস।