নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মিছিল থেকে রাজশাহীর নগরীর রেলগেট এলাকায় অটোরিকশায় ককটেল হামলা চালানো হয়েছে। এতে এক অটোরিকশা চালকসহ দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ককটেলের আঘাতে একজনের চোখ ও একজনের পেটে মারাত্মক জখম হয়েছে। তাদের দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর সময় নগর যুবলীগের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনতা ধাওয়া দিয়ে নগর ভবনের সামনে থেকে শাহাদত, টিটু ও মনিরুল ইসলাম নামের তিন যুবককে আটক করে গণধোলায় দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করা হয়েছে।
ককটেল বিষ্ফোরণে আহতরা হলেন,অটোচালক নগরীর হেতেশখাঁ এলাকার জলিল (৪৫), মেহেরপুর জেলার অটোরিকশার যাত্রী আবুল বাসার (৩০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাই দুপুরে দেড়টার দিকে তিনজন যুবক নগরীর রেলগেট এলাকায় অটোরিকশা লক্ষ্য করে ককেটল হামলা করে। এতে চালক এবং আরো এক যাত্রী আহত হন।
এ সময় স্থানের জনতা ধাওয়া করে ওই তিনজন যুবককে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এদিকে, রাজশাহী আদালত চত্বরে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী কিছুটা আহত হয়েছেন।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক জানান, রাজশাহীর আদালত চত্বরের সীমানা প্রাচীরের বাইরে থেকে দুর্বৃত্তরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে। ককটেল টি পুলিশের গাড়ির পাশে বিস্ফোরিত হয়। এতে কোন পুলিশ সদস্য আহত না হলেও একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কিছুটা আহত হন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ওসি জানান, ককটেল হামলা চালিয়েই মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে গেছে। তাই কাউকে আটক করা যায়নি। অবরোধের সমর্থনে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।