November 29, 2024, 10:47 pm

News Headline :
আমগাছে কীটনাশক প্রয়োগে মরছে রেশমের পোকা, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা

আমগাছে কীটনাশক প্রয়োগে মরছে রেশমের পোকা, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমগাছের পোকা-মাকড় দমনে কীটনাশক স্প্রে করায় পাশে থাকা তুঁত গাছের পলু পোকাও মারা যায়। এতে রেশম চাষ ব্যাহত হয়ে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। পাশাপাশি রেশম সুতা উৎপাদনও কমে যায়। বিশেষ করে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে এ সমস্যা বেশি হয়। তাই এ সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীতে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডে আয়োজিত রেশম শিল্পে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় শুদ্ধাচার বিষয়ক এক অংশীজন সভায় এ সমস্যার কথা তুলে ধরেন চাষিরা।জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল-কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ সভার আয়োজন করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আনওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বস্ত্র) সুব্রত শিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম সচিব (বস্ত্র) এ এম মঈনুল ইসলাম।

সভায় রেশম চাষিদের পক্ষ থেকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জের ইয়াসিন আলী বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘রেশম চাষের জন্য প্রসিদ্ধ বাঘা উপজেলা। কিন্তু আমাদের তুঁত গাছের বাগানগুলো আমবাগানের পাশে। চাষিরা আমগাছের পোকামাকড় দমনে কীটনাশক স্প্রে করেন। এর প্রভাবে তুঁতগাছের পলু পোকাও মরে যায়। এতে রেশম কাপড়ের জন্য সুতা উৎপাদন অনেক কমে যায়। ফলে চাষিরাও ক্ষতিগ্রস্থ হন। তাই এর সমাধান জরুরি।’

পরে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত চারটি মৌসুমে পলু পোকা উৎপাদন হয়। এরমধ্যে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি সময়টিকে জ্যৈষ্ঠাবন মৌসুম ধরা হয়। এই মৌসুমেই আমবাগানের কীটনাশকের কারণে পলু পোকার ক্ষতি হয়। পলু পোকা গাছে থাকে ২০ থেকে ২২ দিন। এই সময়টি পাশের আমবাগানের মালিককে সতর্কতার সাথে কীটনাশক স্প্রে করতে বলতে হবে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন রেশম বোর্ডের কর্মকর্তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.