নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে লক্ষিপুরে অবস্থিত লাইফ গার্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এখন প্রতারণার মহা ফাঁদ। প্রতারক দালাল চক্রের সিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিচজ। দালালদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। দালালদের সঙ্গেও প্রতারণা করেন প্রতিষ্ঠাটি। দালালদের জিম্মি করে প্রতিনিয়ত সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
১২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।প্রতিষ্ঠানটি সামনে রাস্তায় দাঁড়াতেই দালালরা সটকে পড়েন। তবে প্রতিষ্ঠানটি মালিক দাবিকারী এগিয়ে এসে বাজে কথা বলতে থাকেন। যদিও তারা জানে না আসলেই সাংবাদিকরা সেখানে কি করছে? তবুও তারা ভয় পেয়ে বিভিন্ন লোক মারফত কথা বলাতে শুরু করেন। সেখানে গত দুইদিনে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় প্রতারণা ভয়াবহ চিত্র।
প্রতিষ্ঠানটিতে নেই পর্যাপ্ত মেশিনারীজ। যে দু একটি মেশিন ঠিক আছে তাতেও কোন রিপোর্ট করার পর্যাপ্ত লোকবল নাই। ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন গ্রামের সহজ সরল মানুষের অর্থ।
ভুক্তভোগী রোগীর স্বজন ও রোগীরা বলেন, দালাল কতৃক নামীদামি চিকিৎসকের নাম করে রোগীগুলোকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে গেলে ওই ডাক্তার বা চিকিৎসক না থাকলেও অন্য ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এমনকি ওই ডাক্তার পরিচয়েও ভুয়া চিকিৎসক সেজে চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি কতৃপক্ষ বলছে, বেশিরভাগ চিকিৎসক এখানে নিয়মিত বসে না, তবে চিকিৎসকরা অনকলে চিকিৎসা দেন। লিখিতভাবে চুক্তি করে প্রায় ৩০ জন দালাল পোষেন তারা। এমনকী দালালরা অন্য কোথাও রোগী নিয়ে গেলে তাদের মারধরও করেন তারা।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির মালিক পরিচয়দানকারী সামীম রেজা বলেন, এসব বলে লাভ নাই, দু-চারজন সাংবাদিক আমাদেরও আছে। প্রয়োজনে কথা বলতে পারেন। হুমকির ছলে বলেন আমাদের হয়রানি করলে আপনারা হয়রানিতে পরবেন।
কথা বললে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা: আবু সাঈদ বলেন, আমি বিষয়টির খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনকলে চিকিৎসার কোনো সুযোগ নাই। দালাল কতৃক হয়রানি করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২য় পর্বে থাকছে বিস্তারিত