July 14, 2025, 3:10 pm

News Headline :
রাজশাহীতে মহিলাদলের প্রভাব খাটিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ পাথর নিক্ষেপে হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না: উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৭৭.৬৩,  মেয়েরা এগিয়ে রাজশাহী বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানায় বৃক্ষ রোপণ ১৭ বছর ধরে অবৈধ বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে রূপপুর প্রকল্পসহ হার্ডিং ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু রাজশাহী প্রেসক্লাব থেকে সন্ত্রাসী জুলুর অস্ত্র বাহক পুট্ট বাবু আটক রাজশাহীতে কথিত সাংবাদিক জুলুর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন ‘‘জুলাই সনদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আছি’’: রাজশাহীতে নাহিদ বাগমারা আওয়ামী লীগের দোসর চেয়ারম্যান মোজাম্মেল এর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ
রাজশাহীতে বাদীকে চাপ দিয়ে মামলায় নিরিহ মানুষের নাম ঢুকালো পুলিশ

রাজশাহীতে বাদীকে চাপ দিয়ে মামলায় নিরিহ মানুষের নাম ঢুকালো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহীতে চাঁদাবাজি মামলায় বাদীকে ভয় দেখিয়ে দুজন নিরিহ সাধারণ মানুষের নাম ঢুকানোর অভিযোগ উঠেছে কাশিয়াডাংগা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। মামলার বাদী তাজারুল ইসলাম পলাশ এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

১৩ ডিসেম্বর (বুধবার) রাত ৮ টায় এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন বাদী ও ভুক্তভোগী ওই দুই সাধারণ মানুষ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাদী গোদাগাড়ী উপজেলার বামনাইল গ্রামের তাহসিন আলীর ছেলে তাজারুল ইসলাম পলাশ (৩১) কে তার হড়গ্রামের ভাড়া বাসায় আটক রেখে নির্যাতন করে চাঁদাদাবিসহ মালামাল চুরি করে নেয় আসামীরা।

ওই মামলার আসামীরা হলেন, কাশিয়াডাংগা থানা এলাকার হড়গ্রাম পালপাড়া’র ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে আসিব ইকবাল লিটন (৩২), ও মোঃ আরিফ ইকবাল হাসান (২৮), একই এলাকার খায়রুল হকের ছেলে ইসলামুল হক (৩৩), ওই এলাকার খাজার ছেলে সাগর ওরফে লতা সাগর, গুড়িপাড়া এলাকার মোঃ এসারুল (৩২) এবং জানেমুল (৩৫)।

উক্ত মামলায় এসারুল ও জানেমুলের নাম বাদীকে চাপ দিয়ে ঢুকিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী পলাশ।

বাদী পলাশ সম্মেলনে আরও বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর ইব্রাহিম মিয়ার বাসায় ভাড়া দিতে (বাদীর ভাড়াকৃত বাড়ি) যায়। সেখানে তাঁকে নির্যাতন করেন আসামীরা। সে সময় আসামীরা তাকে নির্যাতন করে নগদ অর্থসহ ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা চায়। বাদী নিজে বাঁচতে মামলায় জোর পূর্বক ঢুকানো অপর আসামী তাঁর পূর্ব পরিচিত এসারুল ও জানেমুল কে ঘটনাস্থলে ডাকেন। সেখানে তারা গিয়ে বাদিকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। এরপর বাদি ৯৯৯ লাইনে ফোন দিয়ে পুলিশ মারফত উদ্ধার হয়।

এঘটনায় বাদিকে কয়েক দফায় রিয়ার সেল দিয়ে এসারুল ও জানেমুলের নাম মামলা দিয়ে বাধ্য করা হয়। এস আই মীর আরমান হোসেন বাদিকের জোরপূর্বক ওই দুই ব্যক্তির নাম এজাহার দিতে বলেন। অন্যথায় মামলা হবে না। এমনকি তাকেই উলটো গ্রেফতার করা হবে মর্মে জানান। বাদির উদ্ধারকৃত টাকা মোবাইলও দেয়নি পুলিশ। বাদির কাছেও মোটা অংকের অর্থ দাবি করেন এস আই আরমান।

বাদি আরও বলেন, আমি পুলিশকে বলেছি যে, এসারুল ও জানেমুল আমাকে উদ্ধার করতে এসেছিল। আমি নিজে তাঁদের ডেকেছি। তবুও পুলিশ আমার কথা না শুনে তাঁদের নাম মামলায় দেয়। কি উদ্দেশ্যে তাদের নাম মামলা দিয়েছে তা আমি জানি না।

কথা বললে কাশিয়াডাংগা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)এমরান বলেন, এই থানায় আমার যোগদান মাত্র কয়েকদিন। বিষয়টি এমন হওয়ার কথা নয়। বাদীর অভিযোগেই মামলা নেওয়া হয়েছে। তবুও বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

ads

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.