November 29, 2024, 8:34 am

আমি একা জিততে চাই না, জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও জেতাতে চাই: আসাদ

আমি একা জিততে চাই না, জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও জেতাতে চাই: আসাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, আমি একা জিততে চাই না, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও জেতাতে চাই। তিনি জিতলে বাংলাদেশ জিতবে।তার বিজয়ের বিকল্প কিছু ভাবতে চাইনা। আর দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে।৭ জানুয়ারি দলে দলে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন, সুন্দর, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর ভোট উপহার দেয়ার। তিনি আজ পর্যন্ত সকল চ্যালেঞ্জ জয় করেছেন। আমরা নিশ্চিত করেই বলতে পারি এই চ্যালেঞ্জেও তিনিই জিতবেন। সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবেন। দলে দলে যাবেন, উৎসবের আমেজে ভোট দিবেন। এর মধ্য দিয়েই আবারো তাঁর জয় হবে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মৌপাড়া স্কুল মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে বুধবার মোহনপুরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন আসাদুজ্জামান আসাদ। এসময় তিনি পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রচারপত্র বিতরণ করেন। সবাইকে ভোট দিতে যাওয়ার জন্য আবেদন রাখেন।

বিকেলে নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান বলেন, উপকারীর উপকার স্বীকার করে তার ঋণ শোধ করা শুধু সামাজিক দায়িত্ব নয়, ধর্মীয় দায়িত্বও বটে। সেই জায়গা থেকে বিবেচনা করলেও আমরা নৌকায় ভোট পাওয়ার দাবি রাখি। কারণ, সারাদেশের প্রতিটি সেক্টরেই অভূতপূর্ব যে উন্নয়ন হয়েছে তার দাবিদার বর্তমান সরকার। বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই বিবেচনায় আপনার ভোটটা নৌকা মার্কায় চাইতে এসেছি।

আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এই সরকারের আমলে বয়স্ক ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, অন্তঃসত্ত্বা ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি, কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়। যে কারণে সব জায়গায় নারীদের জাগরণ তৈরি হয়েছে। সঙ্গত কারণেই আপনাদের বিবেকের রায়টি আমরা প্রত্যাশা করি। আগামী ৭ জানুয়ারি দলে দলে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিবেন বলে আমি আশা করি।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা কেমন ছিলেন ১৫ বছর আগে? সব মুক্তিযোদ্ধাই কি আওয়ামী লীগ করে? তা নয়। কিন্তু সব মুক্তিযোদ্ধাই শেখ হাসিনা সরকারের সম্মান অর্জন করেছেন। যদি ১৫ বছর আগের চেয়ে ভালো থাকেন বিবেকের রায়টি নৌকায় চাইবো। কারণ সবাই শেখ হাসিনার সরকারের সুবিধা ভোগ করেন।

১৫ বছরে আওয়ামী লীগ জাতিকে যা দিয়েছে, বাংলাদেশকে দিয়েছে, বাংলাদেশের মানুষকে দিয়েছে, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু মুজিব ছাড়া আর কোনো সরকার দেশকে নিয়ে এতো ভাবে নি, এতো কিছু দিতেও পারে নি। এটি নিয়ে আমরা গর্বিত।

আসাদুজ্জামান বলেন, পবা-মোহনপুরের সাধারণ মানুষের কাছে আমি দাবি রাখছি, দয়া করে আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে যাবেন। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন। যারা দেশকে ভালোবাসেন তারা সবাই মিলে এদিন ভোট দিতে যাবেন। কোন ষড়যন্ত্রে কান দিবেন না। কোন কুটকৌশল মানবেন না। উন্নত এক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন এটিই আমার নিবেদন।

স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সোহরাব আলী খান, মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন বিশ্বাস, মৌগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সবুর, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম তোতা, মৌগাছি ইউনিয়ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন সরদার, ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শরিফুল ইসলাম, মোহনপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.