নিজস্ব প্রতিনিধি: বাগমারা-৪ আসনের নির্বাচন বিতর্কিত করতে নানা ষড়যন্ত্র ও সহিংসতা’য় লিপ্ত হয়েছেন নৌকা বঞ্চিত নানা সমালোনায় সমালোচিত কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। প্রতিনিয়ত আ’লীগ মনোনীত নৌকার মাঝি আবুল কালাম আজাদের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারসহ হামলা মামলায় জড়িত হয়েছেন তিনি। অশান্ত বাগমারা তৈরি ও নির্বাচন বানচালের পায়তারাসহ নৌকার নির্বাচনী প্রচার মাইক ও ক্যাম্পে হামলা চালাচ্ছেন। বাগমারার বাহিরে থেকে ‘সর্বহারা পার্টি’ কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে এমন সহিংসতা’ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। আর্ট বাবু’র মতো চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে মাঠে সাধারণ ভোটারদের ভয় ভীতি’র সৃষ্টি করছেন।
তিনি বলেন, কালো টাকা দিয়ে তিনি এবার প্রকাশে ভোট কিনছেন। নির্বাচনে এবার নিশ্চিত পরাজয়ের ভয়ে মাঠে এখন কালো টাকা ছড়াচ্ছেন। কালো টাকা ছড়িয়ে লাভ নাই। বাগমারাবাসীর রক্ত চোষা টাকা তিনি এখন নির্বাচনের কাজে লাগাচ্ছেন। ইতোমধ্যে টাকা দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
গণসংযোগ কালে উপস্থিত সাধারণ মানুষরা জানান, বাগমারাবাসী আর বোকা নাই। কে কেমন মানুষ তা পরিষ্কারভাবে জেনে গেছেন তাঁরা। লজ্জার ইতিহাস শেষ করতে চায় বাগমারাবাসী। সহিংসতা’য় লিপ্ত হয়েও লাভ নাই। শান্তির বার্তা বহনকারী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকেই এবার বাগমারাবাসী নির্বাচিত করবেন বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। বাগমারায় ব্যাপক জনপ্রিয় অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।
গণসংযোগ কালে নৌকার মাঝি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যায়ে নানান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তিনি বাগমারাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবেন।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী জেলার অন্যান্য আসনের চেয়ে রাজশাহী-৪ আসন একটু আলাদা।
বাগমারা উপজেলায় এক সময় সর্বহারা পার্টির স্বর্গ রাজ্য ছিল। এরপর এখানেই উত্থাণ ঘটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জেএমবি নেতা সিদ্দিকুল ইসলামের, যিনি ‘বাংলা ভাই’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু এলাকায় এখন ‘সর্বহারা পার্টি’ এবং জঙ্গিদের কোন তৎপরতা নেই।
উল্লেখ্য, রাজশাহী-৪ আসনে প্রার্থিরা হলেন – এনামুল হক ( স্বতন্ত্র প্রার্থী ), আবুল কালাম আজাদ (আওয়ামী লীগ), আবু তালেব (জাতীয় পার্টি), বাবুল হোসেন (স্বতন্ত্র), সাইফুল ইসলাম রায়হান (বিএনএম), জিন্নাতুল ইসলাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি)।