২০২২ সালে হঠাৎ করে বাংলা ভাষার দর্শকদের চক্ষু চড়কগাছ করে সামনে আসল একটা সিরিজ। নাম ‘শাটিকাপ’। একেবারে নতুন লোকেশন, কোনো পরিচিত আর্টিস্ট নেই, পরিচালকের নামও কেউ জানে না। কিন্তু স্ক্রিনের উপর থেকে এক মুহুর্তের জন্যেও চোখ সরানো যাচ্ছে না।
টান টান উত্তেজনার শাটিকাপ দেশ বিদেশের দর্শকদের নড়ে চড়ে বসতে বাধ্য করল। কে বানাল? প্রথমবারের মতো সবার সামনে আসল মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম। যিনি শাটিকাপ-এর লেখক ও পরিচালক। আসেপাশের বন্ধুদের নিয়ে বানিয়ে ফেলেছে ৭ পর্বের এই সিরিজ।
এরপর থেকেই তার পরবর্তী কাজের জন্য অপেক্ষা করে আছে দর্শক আর সমালোচকরা। দুই বছর পর রাজশাহীর সেই তাওকীর আবার ফিরছেন নতুন আরেক সিরিজ নিয়ে। নাম ‘সিনপাট’। চরকি-তে খুব তাড়াতাড়ি আসতে যাচ্ছে রাজশাহীর সেই লোকাল ও র ট্যালেন্টদের নিয়ে নির্মিত অরিজিনাল সিরিজ ‘সিনপাট’। শুক্রবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘোষণা দেয়া হয় এই সিরিজের।
সিনেমা নিয়ে দিল্লীর এশিয়ান স্কুল অব মিডিয়া স্ট্যাডিজ থেকে পড়ালেখা করেছেন রাজশাহীর ছেলে তাওকীর। রাজশাহীতে বসেই সেখানকার লোকাল ট্যালেন্ট নিয়ে নির্মাণ করছেন দুর্দান্ত সব সিরিজ। তাওকীর মানেই ভিন্ন টেস্টের কনটেন্ট। এবার তার সিরিজে থাকবে আগের থেকেও বড় চমক। ভিন্ন রকম গল্প। আরও নতুন নতুন আর্টিস্ট, এই আর্টিস্ট লিস্টেও নাকি আছে নতুন চমক। কিন্তু কী চমক? জানা যাবে কিছুদিন পরে।
সিরিজের নাম কেনো ‘সিনপাট’ এমন প্রশ্নের উত্তর পরিচালক তাওকী বলেন, সিরিজের নাম আসলে কি হবে এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি আমরা। বহু নাম প্রাথমিকভাবে মাথায় ছিল। হুট করে একদিন ‘সিনপাট’ নামটা সামনে আসে। এটা মূলত আমাদের প্রটাগোনিস্ট সোহেল ভাইয়ের কাছ থেকে এসেছে। এই শব্দটা পাবনার নগরবাড়ির লোকাল একটা শব্দ। যেটা আমাদের কাজকে রিফলেক্ট করে।
‘শাটিকাপ’ নির্মাণের পর জীবনে কী পরিবর্তন এসেছে জানতে চাইলে পরিচালক তাওকীর ইসলাম বলেন, শাটিকাপ-এর পর পরিবর্তন বলতে অনেক নতুন বন্ধু হয়েছে। আমাদেরকে মানুষ চিনেছে। সেই সাথে বেশ কিছু কাজের সুযোগ হয়েছে।
‘সিনপাট’-এও লোকাল সব অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন তাওকীর। কী কী সুবিধা আর অসুবিধা হয়েছে কাজ করতে গিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন মানুষদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা বাচ্চাকাল থেকেই। নতুন মানুষদের নিয়ে কাজ করলে নতুন টেকনিক শেখা যায়। আবার নতুন অভিজ্ঞতাও হয়। এছাড়া আমাদের এবারের মূল কাস্ট যিনি তিনি একদমই নতুন। তাকে শেইপে নিয়ে আসতে কিছুটা সময় লেগেছে।