নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাগমারায় তুহিনকে চাঁদা দিলেই মেলে অবৈধ পুকুর খননের অনুমতি। শুধু পুকুর খনন না, বাগমারায় তুহিনকে চাঁদা দিলে আইন অমান্য ও অবৈধ যেকোনো কাজ করা যায় ।
রাজশাহী বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের হাটগাঙ্গোপাড়া খোদাপুর গ্রামে ২০ বিঘা ধানি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন জায়গায় নিউজ হওয়ার পরে বাঘমারা থানার ওসি ও উপজেলা প্রশাসন সে কাজটি বন্ধ করে দেয়। ভেকুর ব্যাটারি জব্দ করেন থানা কর্তৃপক্ষ।
এরপর বাগমারার আউচপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদের ছেলে তুহিন পুকুরের মালিক মিজানুর রহমানকে ফোন দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় মিজানুর রহমান তুহিনকে বলেন আপনার লোকের সাথে আমার ২০ হাজার টাকার কথা হয়েছিল। তখন তুহিন বলেন, আপনি একজন শিল্পপতির ছেলে ২০ হাজার টাকা দিয়ে আমি কি করবো ১ লাখ টাকাই লাগবে।
তবেই আপনি পুকুরের কাজ করতে পারবেন আর আপনার ভেকুর সমস্ত কিছু উদ্ধার করে দেওয়া হবে। আরো বলে আপনি একজন শিল্পপতির ছেলে এই টাকা আপনার কাছে কোন ব্যাপারই না। এরপর পুকুর মালিক মিজানুর রহমানের সাথে তার ত্রিশ হাজার টাকা লেনদেনের সময় ও স্থান ঠিক করা হয়। সেই কল রেকর্ডের সকল তথ্য গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এসে পৌঁছায়।
এই বিষয়ে পুকুর মালিক মিজানুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান, এমন বিষয় আমার তো জানা নাই। গণমাধ্যম কর্মীর কাছে কল রেকর্ড আছে এই কথা বললে তিনি তুহিনের সাথে কথা বলতে বলে ফোন কেটে দেয়।
সাবেক চেয়ারম্যান,আউচপাড়া ইউপির সরদার জান মোহাম্মদ এর ছেলে তুহিনকে ফোন করলে উনি বলেন, মিজানুর রহমান সাহেব আমাকে গিফট করতে চেয়েছে। গণমাধ্যম কর্মী যখন তাকে প্রশ্ন করে আপনার কল রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। তখন তিনি জানতে চান, কে আপনাকে এই রেকর্ডটা দিয়েছে এটা বলেন। গণমাধ্যম কর্মী সোর্স এর নাম বলতে না চাওয়ায় তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলের তুহিন বাগমারার অন্যান্য নেতাকর্মীকে দিয়ে ফোন করাতে শুরু করে হুমকি দেন এই প্রতিবেদককে।
বাগমারা থানার ওসি বলেন, গাড়ির সমস্ত কিছু আমরা জব্দ করেছি। যে যতই কথা বলুক কাজ তো শুরু হবে না। কারণ সেখানে পুকুর খনন হলে কৃষকরা অনেক বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়বে। যদি কেউ বাগমারা থানার নাম করে চাঁদা বা যেকোনো অনৈতিক কাজ করে তার বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নিব।