নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর দুর্গাপুরে পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-৩য় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘গোপালপুরের পানপল্লী’ পরিদর্শন করেছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোসাম্মাৎ হামিদা বেগম। রোববার বিকেলে উপজেলার গোলাপপুর গ্রামের পানপল্লী পরিদর্শনে আসেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পল্লী উন্নয়ন বোডের মহাপরিচালক (গ্রেডÑ১) গাফফার খান, পল্লী উন্নয়ন বোডের প্রকল্প পরিচালক আলাউদ্দিন সরকার।
সিনিয়র সচিব এ সময় গোপালপুরের পানপল্লীর বিভিন্ন পানবরজ স্বচক্ষে পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এ সময় পানপল্লীর সুফলভোগী পানচাষিরা পানের রোগ বালাই, ঘন ঘন বরজে আগুন লাগা, পানচাষের ওপর ঋণের সুদের হার কমানো সহ বিভিন্ন দাবিদাবা তুলে ধরেন। পরে সেগুলো সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন সচিব। পানবরজ পরিদর্শণ শেষে সচিব পান পল্লীর সুফলভোগীগণে সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোসাম্মাৎ হামিদা বেগম বলেন, জীবনের প্রথম এই পান পল্লীতে বরজের ভিতরে ঢুকে পান খেত দেখলাম। পানচাষিদের দাবির প্রেক্ষিতে সচিব বলেন, পল্লীর সব জায়গায় শুধু পানবরজ আর পানবরজ। কিন্ত পানচাষিদের কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। তাই মাঝে মাঝে রোগ বালাই দেখা দেয়। এখানে পানচাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও ঘন ঘন বরজে আগুন লাগাও দু:খজনক। ফায়ার সার্ভিসের টিম এখানে এসে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ালে আগুন লাগার ঘটনা অনেকটা কমে আসবে। আপনাদের (চাষিদের) এসব দাবি আমি মন্ত্রণালয়ে জানাব ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন এই সচিব।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী পল্লী উন্নয়ন বোডের উপ-পরিচালক একেএম জাকিরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৃঞ্চ চন্দ্র, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল আলম সহ গোলাপপুর পানপল্লীর সুবিধা ভোগী প্রায় ৩০০ শতাধিক পানচাষি।উল্লেখ্য, পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প- ৩য় পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের মধ্যবর্তী মূল্যায়নে সুফলভোগী ও এলাকার স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে দুর্গাপুরের গোপালপুর এলাকাকে ‘পান পল্লী’ ঘোষণা করা হয়। গত বছরের ১৫ জুলাই পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পান পল্লী ঘোষণা করেন পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জহির রায়হান। এই পানপল্লীতে ৬০০ পানচাষি রয়েছেন। তারা বংশপর¤পরা পানচাষের সঙ্গে জড়িত। এই পানপল্লীতে ৬টি পান কেনাবেচার আড়ত রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকার পান কেনাবেচা হয়।