নিজস্ব প্রতিনিধি: সংবাদ প্রকাশের পর বন্ধ পুকুর আবারও খনন শুরু। মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে আবারও দ্বিতীয় দফায় চালু করা হয় পুকুর খনন। রাতের আঁধারে রাজশাহী বাগমারা উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়া খোদাপুর ইউনিয়নে ২০ বিঘা ধানি জমিতে উক্ত পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই রাতের আঁধারে ওই পুকুর খনন করছেন মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। দুই দফায় এসিল্যান্ড পুকুর খনন বন্ধ করলেও পরে তা মোটা অংকের উৎকোচে মাধ্যমে আবারও পুকুর খনন কাজ চলমান রেখেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত ১৮ জানুয়ারী মধ্য রাত থেকে ওই পুকুর খনন শুরু হয়। ওই পুকুর খনন হলে স্থানীয় কৃষকদের দক্ষিণের জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে বলেও অভিযোগ করছেন কৃষকরা। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকরা।
২১ জানুয়ারী (রোববার) সরেজমিনে গেলে পুকুর খননের বিষয়টি দেখা যায়।
প্রতিবেদক ভুক্তভোগীদের বক্তব্য রেকর্ড করে সংশ্লিষ্ট বিষয় বাগমারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুমন চৌধুরীকে অবগত করেছেন। তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের পরও অদৃশ্য কারণে তা আবারও চলমান আছে। পুকুর মালিক মিজান বলছে টাকা দিয়েই অনুমতি নিয়ে পুকুর খনন করছি। বাগমারা থানার ওসি’র ড্রাইভারকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছে বলে মিজান জানিয়েছে।
কথা বললে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোয়াজ্জেমকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, আপনার থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেন।
বাগমারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুমন চৌধুরীকে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, আমি দুই দফায় গিয়ে পুকুর খনন বন্ধ করেছি। তারপরও যদি পুকুর খনন চলমান রাখে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কথা বললে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আপনারা এসিল্যান্ডকে বিষয়টি জানান। এসব বিষয় এসিল্যান্ড ব্যবস্থা নিবেন।
স্থানীয়রা বলছে, প্রশাসন ম্যানেজ হয়েছে। পুকুর খননকারী এখন দিন রাত পুকুর খনন চলমান রেখেছেন। বুক ফুঁলিয়ে বলছে সব ম্যানেজ।