গ্রেফতারকৃত আসামি মো: সিহাব (২১) রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার হাজরাপুকুর পাবনা পাড়ার মো: জামালের ছেলে।
জানা যায়, রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার চক পোচর গ্রামের মো: আবু মিল্লাত (৫৪) বর্তমানে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার পদ্মা আবাসিক হজোর মোড়ে বসবাস করেন। তিনি ও তাঁর স্ত্রী গত ১৬ জানুয়ারি রাত ১০ টায় ভদ্রা মোড় হতে পায়ে হেঁটে পদ্মা আবাসিক ২নং রোড দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় তাঁরা দি সানরাইজিং স্কুলের সামনে পৌঁছামাত্রই পিছন থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আসা অজ্ঞাতনামা দুই ছিনতাইকারী চলন্ত অবস্থায় তাঁর স্ত্রী’র হাতে থাকা সাইড ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যায়। ব্যাগের মধ্যে জাতীয় পরিচয় পত্র ও একটি মোবাইল ফোন ছিল। এ ঘটনায় চন্দ্রিমা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
পরবর্তীতে নগরীর বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বিভূতি ভূষন বানার্জীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: হাফিজুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাহবুব আলম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: সিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর টিম ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে চন্দ্রিমা থানা পুলিশের ও্রই দলএমপি’র অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টারে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে মোটরসাইকেল শনাক্ত করে। সেই সূত্র ধরে গতকাল ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ বিকেল সাড়ে ৫ টায় ঐ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে চন্দ্রিমা থানার ছোটবন গ্রাম রাজ্জাকের মোড় থেকে আসামি সিহাবকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করে। সেই সাথে জব্দ করা হয় ছিনতাইয়ের সময় তার পরিহিত জ্যাকেট এবং জুতা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধার ও অপর আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।