নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গভ: ল্যাবরেটরী স্কুল মাঠে ল্যাবরেটরী ডে সেলিব্রেশন উপলক্ষে চলছে পিঠা মেলা উৎসব। উদ্বোধনের পর থেকেই এবার এ পিঠা মেলা দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। গত বুধবার উদ্বোধনের পর বিকেলে পিঠা মেলা শুরু হলে দর্শনার্থীদের আনাগোনায় শুরু হয় মেলা প্রাঙ্গন। প্রথম দিন দর্শনার্থী সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে এ পিঠা মেলা প্রাঙ্গন।
শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। ছুটির দিনে বিকেল থেকে মেলায় দর্শনার্থীদের আগমনে মেলাকে করেছে প্রাণবন্ত। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মেলা ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। গত বছর মেলা তেমন একটা জমকালো না হলেও এবার দর্শনার্থীদের কারণে মেলা সফলতার মুখ দেখছে। এবার মুখরোচক পিঠার সাথে অন্যান্য স্টল দেয়ায় একদিকে যেমন বেড়েছে দর্শনার্থী অন্য দিকে মেলাকে করেছে সুন্দর্যমন্ডীত। যার কারণে বিকেল হলেও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে মেলায়।এবার পিঠা মেলা অনেকটা ব্যতিক্রমীভাবে হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবার স্টল সংখ্যাও বেশি। বিভিন্ন ধরনের স্টল মেলার যেমন সুন্দর্য বৃদ্ধি করেছে, তেমনি দর্শনার্থীদের খোরাক যোগাচ্ছে। মেলা বিভিন্ন ধরনের ৭২টি স্টল রাখা হয়েছে। আমরা রাজশাহীর উদ্যোক্তা গ্রুপের সদস্যদের নিয়ে এই স্টল দেয়া হয়েছে। পিঠার সাথে মেলায় রয়েছে বিভিন্ন পোষাকের স্টল। এসব স্টলে নতুন ও পুরাতন উদ্যোক্তারা তাদের পন্যের পসরা নিয়ে বসেছেন। এতে দর্শনার্থী মেলায় এসে যে শুধু নানান ধরনের পিঠার সাথে পরিচিত হবেন এমনটি নয়, পরিচিত হচ্ছেন নানান ধরনের পোষাকের সাথেও।
এবার মেলায় সন্ধ্যা আগ থেকেই শুরু হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃতি। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা মেলায় ঘোরার-ঘুরি সাথে স্বাদ নিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের পিঠার। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিনোদনের খোরাক মিটিয়ে তবেই ফিরছেন বাড়ি। মেলায় অনেকেই স্বজনদের নিয়ে এসেছেন ঘুরতে। আবার কেউ স্বপরিবারে মেলায় এসে কিনছেন বিভিন্ন পণ্য, খাচ্ছেন সুস্বাদু পিঠা।
মূলত আজ শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় লোকজন নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে না গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন পিঠা মেলায়। এতে আজ দর্শনার্থী সংখ্যা গত দুই দিনের চেয়ে অনেক বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
মেলা স্বপরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা আরিফুল ইসলাম নামে এক সরকারী কর্মচারি বলেন, আমাদের পুরো রাজশাহীই একটি বিনোদন কেন্দ্র। তারমধ্যে শুক্রবার বিকেল হলে ইচ্ছে হয় ছেলে মেয়েদের নিয়ে পদ্মার ধার বা গার্টেনের দিকে যেতে। কিন্তু আজ ঘুরতে এসেছি পিঠা মেলায়। তিনি বলেন, এবার পিঠা মেলা অনেকটাই ভিন্ন আঙ্গিকে করা হয়েছে। এখানে এসে খাবারের পাশাপাশি পছন্দ মত পোষাকও পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, ছেলে মেয়েরা যে যার পছন্দ মত খাবার খেলো। তারা বিভিন্ন ধরনের পিঠার সাথেও পরিচিত হলো। শেষে পোষাকের স্টল থেকে কেনো কাটাও হলো। একটি মেলা থেকে এতো কিছু পাবো হয় তো আসা করিনি। এমন মেলা মাঝে মাঝে আয়োজন করলে অন্তত মানুষ বিনোদনের খোরাকটুকু মেটাতে পারবে।
রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী সালমা বলেন, প্রতি শুক্রবার বিকেলে বান্ধবীদের নিয়ে পদ্মার ধারে যাই। আজ এসেছি মেলায়। মেলায় আশার পর থেকে অনেকটা ভাল লাগছে। এখানকার পরিবেশ, খাবারের আয়োজন, পোষাকের স্টল সব কিছুই মনোমুগ্ধকর। যা অন্য কোথায় গেলে এতো আনন্দ পেতাম না। এমন মন্তব্য করেন মেলায় আসা অনেকেই।
মেলায় বিভিন্ন খাবার স্টল দেয়া উদ্যোক্তারা বলছেন, এবার মেলায় অনেক ভাল বেচাবিক্রি হয়েছে। তেমিন লোকজনদের সাথে নিজেদের পরিচিত করতে পেরেছি। বাকি আরো একদিন রয়েছে। শেষ দিনেও ভাল সাড়া পাবো বলে আসা করছি।