নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে বাঘা উপজেলায় নাট্য পরিচালক শিমুল সরকারের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট বাজারে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রতিবাদী গানের মাধ্যমে শুরু হওয়া কর্মসূচি থেকে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের বিচার ও রাজশাহীর বাঘা থেকে ইমো হ্যাকার এবং মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মুল করার দাবি জানানো হয়।
ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাদের বক্তব্যে বলেন, শিমুলের উপর হামলা যে দুজনের নেতৃত্বে হয়েছে সেই শাহীন এবং হাফিজ অত্র এলাকার ইমো হ্যাকার এবং মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট চালায়। এলাকার প্রতিটি মানুষ তাদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ। শাহীন নিজেকে পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের চাঁদাবাজিতে লিপ্ত থাকে সবসময়। মামলার আসামীদের বেশিরভাগই ইমো হ্যাকার।
তারা আরও বলেন, নাট্যকার পরিচালক শিমুল সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এইসকল অসামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মুখর ছিলেন বলেই তার উপর এই পৈশাচিক হামলা চালানো হয়।
লাঠিতে ভর দিয়ে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে শিমুল সরকার বলেন, একটি সংঘবদ্ধ ইমো হ্যাকার এবং মাদক কারবারী চক্র রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সরেরহাট বাজারে চাইনিজ কুড়াল, হাতুড়ি, লোহার রড নিয়ে আক্রমণ করে আমাকে। মাথার পিছনে তিনটা কোপ দেয় তারা, এরপর ধস্তাধস্তিতে ৫ জনের সাথে পেরে না উঠে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে গেলে আমার সারা শরীরে হাতুড়ি, রড চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করতে থাকে। পাশেই, ৫/৬ টি বাইক নিয়ে তাদের ড্রাইভাররা ফুল পিকাপ এবং হর্ণ এর সাউন্ড করতে থাকে যেন আমার চিৎকার শোনা না যায়।
তিনি আরও বলেন, এদের পরিচালনা করে কে? কে এদের বড়ভাই? এমন প্রশ্ন করে শিমুল সরকার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন আমার উপরে হামলার বিচার না হলে না হোক, কিন্তু সমাজ থেকে এইসকল গডফাদার এবং সাইবার ক্রাইম, মাদক চক্র যেন ধ্বংস হয়।
উল্লেখ্য, নাট্যকার পরিচালক শিমুল সরকারের উপর পৈশাচিক হামলার প্রতিবাদে বিনোদন সংগঠনগুলো প্রতিবাদ এবং বিচার চেয়ে বিবৃতিও দিয়েছে। তারা এটাও জানিয়েছে যদি অপরাধী চক্রের বিচার না হয় তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হবে।