নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে রাতের আঁধারে দলবদ্ধ হয়ে লীজ কৃত পুকুরের মাছ চুরির মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিএনপির সম্পাদকসহ দুইজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, কাঁকনহাট পৌরসভার ব্রাক্ষন গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র কাঁকন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান (৪২) ও তার বড়ভাই ইসমাইল হক (৫৮)।
লীজকৃত পুকুরের মাছ চুরির ঘটনাটি ঘটেছে চলতি মাসের (১৭জানুয়ারী) শনিবার গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়নে। মাছ চুরির ঘটনায় পুকুর মালিক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করেন কাঁকন হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র।
ঘটনা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দামকুড়া থানার মধুপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ সরকারের পুত্র হাফিজুর রহমান রাজপাড়া থানার কেশবপুর পাড়ার মৃত এরফান আলীর পুত্র সামসুজ্জোহার কাছে থেকে গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়নের ইয়াজপুর মৌজায় অবস্থিত ৭.২১৬৪ একরের একটি পুকুর তিন বছরের জন্য লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। কিন্তু চলতি মাসের (১৭জানুয়ারী) শনিবার গভীর রাতে কাঁকন পৌর বিএনপির সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও তার বড়ভাই ইসমাইল হক দলবেঁধে হাফিজুর রহমানের লীজ কৃত পুকুরে জাল ফেলে মাছ চুরি করতে নামেন। এসময় পাহারাদারে কাছে থেকে খবর পেয়ে দ্রুত পুকুরে ছুটে আসেন হাফিজুর রহমান। এসে পুকুর পাড়ে থাকা বিএনপির সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে মাছ মারতে নিষেধ করেন। কিন্তু হাবিবুর রহমান ও তার বড়ভাই ইসমাইল হাফিজুর রহমানকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে রাতের আঁধারে প্রায় ১শ বিশ মন বিভিন্ন রকমের মাছ চুরি করে নিয়ে চলে যান। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫লক্ষ টাকার মতো। এতে করে হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মাছ চুরির ঘটনায় কাঁকন পৌর বিএনপির সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও তার বড়ভাই ইসমাইল হকসহ ৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নম্বর-৪১।
এতে করে গোদাগাড়ী থানার কাঁকন হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) মোহাম্মদ আব্দুল করিমের নেতৃত্বে (৩০জানুয়ারী) মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পাকড়ী ইউনিয়নের ব্রাক্ষন গ্রাম থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
গোদাগাড়ী সহকারী পুলিশ সুপার ( সার্কেল) মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, এই হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এবার তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।