নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সহধর্মিণী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের মাতা জাহানারা জামানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে মরহুমার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, কুরআনখানি ও দোয়া মাহফিল, খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কাদিরগঞ্জস্থ পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমা জাহানারা জামানের সমাধিতে পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং যুব মহিলা লীগে সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।
এ সময় রাসিক মেয়র হিসেবে মরহুমার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উপস্থিতিতে মরহুমার সমাধীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এ সময় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর,কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর সমাধীস্থল প্রাঙ্গনে মরহুমা জাহানারা জামানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
স্মরণ সভায় স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন মরহুমার পরিবারের সদস্য শাহীন আকতার রেণী ও ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাওলানা মুহা. বারকুল্লাহ বিন দুরুল হুদা। এছাড়াও নগরীর এতিমখানা ও মাদ্রাসায় মানবভোজ বিতরণ করা হয়।
সভায় শাহীন আকতার রেণী স্মৃতিারণ করে বলেন, মরহুমা জাহানারা জামান আমার শ্বাশুরি , তিনি আমাকে নিজের পুত্রবধূ নন, নিজের মেয়ের মতই ভালোবাসতেন, বিভিন্ন পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিতেন। তিনি সাহসিকতার বলিষ্ঠ ভাবে সাথে সকল প্রতিকুলতার মোকাবিলা করে তাঁর দুই ছেলে ও চার মেয়েকে শিক্ষায়, দীক্ষায়, জ্ঞানে ও গরিমায় যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলে প্রতিষ্ঠিত করতে কঠোর বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন।
তবুও তিনি বিচলিত হননি। তারই ফলশ্রুতিতে মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং অন্যান্য সন্তান-সন্তুতিদের যোগ্য আসনে অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, মাহ্ফুজুল আলম লোটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফ ম আ জাহিদ, সদস্য নজরুল ইসলাম তোতা, হাবিবুর রহমান বাবু, শাহাব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, বাদশা শেখ, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, কে এম জুয়েল জামান, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল খিচ্চু।
আরোও উপস্থিত ছিলেন, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, শাহ্ মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালমা রেজা, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ, রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল গালিব, রুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি লিমন ইসলাম লতিফ, সাধারণ সম্পাদক সৌমিক সাহা প্রমুখ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম আল আযীম, প্যানেল মেয়র-২ ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামারুজ্জামান কামরু, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুর ইসলাম, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত আলী শাহু, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদু ইসলাম, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলিফ আল মাহমুদ লুকেন, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনি, ৩০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আলাউদ্দীন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ, সচিব মোঃ মোবারক হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ, সাধারণ সম্পাদক আজমীর আহমেদ মামুন প্রমুখ।