নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে পাল্টাপাল্টি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
পরে দুপুর ২ টা ২০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্রউপদেষ্টার অনুরোধে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত হয়।
পরীক্ষা রুটিন অনুযায়ী নেয়ার দাবি কলেজিয়েট হওয়া ৪ শিক্ষার্থীর। আর পরীক্ষা পিছিয়ে তাদের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার দাবি জানান ডিস কলেজিয়েট হওয়া ৮ শিক্ষার্থী। তাদের দাবি কোর্স শিক্ষক ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের ডিস কলেজিয়েট করে দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে দিচ্ছেন না।
অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়া পরীক্ষার্থী সারজিনা আক্তার ইমা বলেন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আমাদের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। আগের দিন আমরা জানতে পারি যে পরীক্ষা হবে না,কারণ ডিসকলেজিয়েট শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা স্থগিত এর জন্য একটি আবেদন পত্র জমা প্রধান করেন।
পরবর্তীতে আমরা চারজন একটি দরখাস্ত করি যার বিষয় ছিল ” স্থগিত মাস্টার্স পরীক্ষা এবং কোর্সের পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধের জন্য অনুরোধ। ” এই ঘটনা ৮ডিসকলিজিয়ে শিক্ষার্থী বরাবর গোপন করেন। পরে বিভাগের একাধিক একাডেমিক সভায় হয় তারপরে সিদ্ধান্ত হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা হবে।
আট ডিসকলেজিয়েট শিক্ষার্থীর ভিত্তিহীন ও মিথ্যা আন্দোলনের কারণে দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষা স্থগিত হয়। উল্টো তারা বাঁচার জন্য শিক্ষককে অভিযুক্ত করেন।
তাদের এই ভিত্তিহীন আন্দোলনের জন্য আজ পরীক্ষার দিন আমরা চার জানতে পারি আমাদের পরীক্ষা দ্বিতীয়বারের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তখন আমাদের চারজনের ভিতরের মানসিক অবস্থা কি, সেটা হয়ত সব শিক্ষার্থীরাই বুঝে। আট শিক্ষার্থীকে বারবার বলার পরেও তারা ক্লাসে আসেনি তার যথেষ্ট প্রমাণও আছে আমাদের কাছে । শিক্ষকরা নিয়মিতই ক্লাস নিয়েছেন।
মাহরিন সাদিয়া ইরা বলেন প্রতি মাসের শেষে শিক্ষার্থীদের থেকে স্বাক্ষরও নিয়েছেন। করোনার কারণে ইতিমধ্যে আমরা দুইবছর পিছিয়ে পড়েছি। তাদের সঙ্গে পুনরায় ক্লাস করতে গেলে আমাদের আরও ছয়মাস লাগবে। আট শিক্ষার্থী একেকজন একেকটা কোর্সে উপস্থিত নাই। এছাড়া আমাদের একেকটা কোর্স ব্যয়বহুল। এখন আর পরীক্ষা পেছানোর পরিস্থিতি নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ একাডেমিক কমিটির ওপর নির্ভর করে। আমরা তাঁদেরকে বলেছি, প্রয়োজনে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেন।’ শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করা হবে। বিভাগের সমস্যা বিভাগেই সমাধান হবে।
চারুকলা অনুষদের ডিন (অধিকর্তা) অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমাদের একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আছে। সেই সিদ্ধান্তই এখনো বহাল আছে।’