নিজস্ব প্রতিবেদক(নাজমুল হক): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা উপেক্ষা করে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজারে অবস্থিত আবাসিক হোটেলগুলোর মধ্যে ১ টি আবাসিক ‘হোটেল আশ্রয়’ এ চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা।
র্যাব, পুলিশ, ডিবি অভিযান পরিচালনা করলেও থামছে না এই দেহ ব্যবসা। এসব আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি চলে মাদক সেবন। এতে অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনি দিন।রাজশাহী শহরের প্রাণ কেন্দ্রে সাহেব বাজারে অবস্থিত ৪ টি আবাসিক হোটেলের মধ্যে গণকপাড়া এলাকার অবস্থিত হোটেল আশ্রয় এ চলছে এই অবৈধ দেহ ব্যবসা।
আবাসিক হোটেল নামে পরিচিতি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে হোটেল ব্যবসার আড়ালে চলছে অনৈতিক কার্যকাপাল। আর এই হোটেলগুলোতে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের আনাগোনাই বেশি। বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। দীর্ঘদিন ধরে এই হোটেলটিতে ব্যবসা চলার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন হোটেলের ম্যানেজার।বোয়ালিয়া থানাও (ওসি) সহ অনেক কিছুই ম্যানেজ করে এ কাজ করা হয় বলেও জানান তারা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন দালাল। যারা কাস্টমার নিয়ে হোটেলে নিয়ে যান। দ্বিতীয় ধাপে চলে কাস্টমারের পছন্দের নারী বাছাই পর্ব। কয়েকটি রুমে রয়েছে একাধিক নারী। পছন্দ হলে চলে দরকষাকষি। একই সাথে বিভিন্নভাবে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে আকৃষ্ট করার চেষ্টাও করছে উঠতি বয়সের মেয়েরা। কৌশলে পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে কলেজের ছাত্রী বলে জানায় একজন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব অবৈধ দেহ ব্যবসায় জড়িতরা বিভিন্ন স্কুল কলেজের মেয়ে। এদের নেটওয়ার্ক আছে বড় ধরনের । বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করেন তারা।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং পতিতাদের এই অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিবেদকের চোখে পড়ে। আবাসিক হোটেলের নামে দিনের পর দিন চলছে এই রমরমা দেহ ব্যবসা।
আবাসিক হোটেলের নামে এই অবৈধ পতিতালয়ের ব্যবসার বিষয়ে হোটেল আশ্রয় এর মালিক মজনু জানান, আমরা কয়েকজন লোকাল মেয়েকে নিয়ে এ ব্যবসা করি এ কথা সত্য। তবে বিশেষ করে বোয়ালিয়া থানা মেনটেন করায় অনেক অর্থ প্রদান করতে হয়। তিনি আরো বলেন প্রশাসনের অনেক কিছুই ম্যানেজ করে এ কাজ করি। ওসি বোয়ালিয়া নিজেই এসব ডিল করে থাকেন।
হোটেল বিষয়ে রেট ও অভিযান হওয়ার আগেই থানা থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় হোটেলের মূল হোতাদের। বিভিন্ন প্রশাসন ডিপার্টমেন্ট হোটেল অভিযান পরিচালনা করলেও এ বিষয় একাধিকবার বোয়ালিয়া থানার ওসিকে জানানে রহস্যজনক ভাবে তিনি কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার (ওসি) হুমায়ন কবির আবারও জানান,বিষয়টা খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, র্যাব-৫ সদস্যরাসহ পুলিশ, ডিবি প্রতিনিয়ত আবাসিক হোটেলগুলোতে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। তবুও আড়ালে হোটেলগুলোতে চলছে দেহ ব্যবসা।