নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর মোহনপুরে সরকারি জমিতে ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী ও পথচারীরা। ঘটনাটি মোহনপুর উপজেলার রায়ঘাটি ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামের। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা গত ৭ মার্চ মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর বড়াইল মৌজায় ৬৭৪ রং দাগে কিছু খাস (ডোবা) জমিজমা রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নালার মাধ্যমে উক্ত জমিজমায় গ্রামবাসীর বসতবাড়ীর পানি নিষ্কাসন হয়ে থাকে। এছাড়াও বড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বড়াইল এবতেদায়ি মাদ্রাসার পানি প্রভাহের একমাত্র পথ এটি।
হঠাৎ বড়াইল গ্রামের মৃত জহির উদ্দীনের পুত্র নাসির উদ্দীন সরকারী ওই জায়গাটি জবর দখল করে বাড়ী (স্থায়ী স্থাপনা) নির্মাণ শুরু করেন। স্থানীয়রা মৌখিক নিষেধ করলে নাসির উদ্দীন ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা বাজে ভাষায় গালিগালাজ এবং মারমুখী আচরণ করেন। নাসির উদ্দীন গ্রাম্য মাতবর এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে তোয়াক্কা করেছেন না। এ বিষয়ে
সূত্র জানায়, নাসির প্রভাব ও প্রতিপত্তিশালী হওয়ায় গ্রামবাসী ভয়ভীতিতে থাকেন। সরকারি নালা দখল করে বসত বাড়ী নির্মাণ করায় রাস্তার শুরু হয়ে পড়েছে। জন ভোগান্তির হাত থেকে রেহেই পেতে, প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামবাসীর ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, স্বাক্ষর সহ প্রতিকার চেয়ে ৭ মার্চ মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
বড়াইল গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগ দায়ের কারী বাবুল হোসেন জানান, কয়েক যুগ ধরে গ্রামবাসী সহ পথচারীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করে আসছেন। নালার মুখ বন্ধ করায় বর্ষা মৌসুমে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লি সহ পথচারীদের কৃত্রিম কাদা ও জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পোহাতে হবে। এছাড়াও কয়েক গ্রামের মুসল্লিরা ওই রাস্ত দিয়ে ঈদের নামাজে যান। সরজমিন উপস্থিত হলে অভিযুক্ত নাসির উদ্দীন বাড়ীতে ছিলেন না। মোবাইল ফোনও বাড়ী রেখে কামারপাড়া বাজারে গেছে বলে জানান, তাঁর স্ত্রী।
এ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন,সরকারী জায়গা দখল কওে স্থাপনা নির্মাণ করা হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।