রাজধানীর উত্তরার জসিমউদ্দীন রোডে র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম’র (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার ভেঙে পড়ে প্রাইভেট কারে থাকা শিশুসহ চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। প্রাইভেট কারটিতে ৫ জন ছিল বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলের দিকে গার্ডারটি ভেঙে একটি প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে। দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেট কারের রেজিস্টেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ-২২৬০০৮।
স্থানীয়রা জানান, বিআরটি প্রকল্পের কাজে যখন গার্ডার সরানো হয় তখন আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা। কিন্তু জসিমউদ্দীন রোডের এই এলাকায় এ ধরনের ভারী বস্তুর কাজ দীর্ঘদিন হলেও প্রকল্প কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা দেয়নি। এ রোডে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার প্রতিনিয়তই যাতায়াত করে। নিরাপত্তা না থাকায় প্রাইভেট কার গার্ডারের নিচে চাপা পড়েছে।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) নিবন্ধন অনুযায়ী গাড়িটির মালিকের নাম মো. নূর ইসলাম। পিতার নাম তাঁরা চাঁন মণ্ডল।
নিহতরা হলেন- মো. রুবেল (৫০), ঝর্ণা (২৮), জান্নাত (৬) ও জাকিয়া (২)। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরও ২ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিকেলে আড়ংয়ের শো-রুমের সামনে বিআরটি প্রকল্পের এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডার ক্রেন দিয়ে সরানোর সময় নিচে পড়ে যায়। গার্ডারটি একটি প্রাইভেট কারের ওপরে পড়ে।
পুলিশ ধারণা করছে, নিহতরা সবাই একই পরিবারের। গার্ডার সরিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করার পর ওই চার জনের মরদেহ পাওয়া যায়।
গত ১৫ জুলাই গাজীপুরে একই প্রকল্পের ‘লঞ্চিং গার্ডার’ চাপায় এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় এক শ্রমিক ও একজন পথচারী আহত হন।