October 3, 2025, 5:24 am

News Headline :
রাজশাহীতে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু ১২ অক্টোবর জেনারেল হাসপাতাল দখলের চেষ্টা, পার্টনারশিপে দ্বন্দ্ব, থানায় অভিযোগ রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে সভাপতি রেজাউল, সম্পাদক শামসুল সাংবাদিকদের মিলনমেলায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের বর্ষপূর্তি উদযাপন ‘হাইব্রিড’ ও দখলবাজদের ছাঁটাইয়ের ঘোষণা রাজশাহীতে স্বেচ্ছাসেবকদলের কর্মীসভায় আরডিএ’র কোটি টাকা কাজে অংশ নিয়েছে লিটনের চাচতো ভাই ডলার রাজশাহীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর, দোষীদের গ্রেফতারের দাবি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা: আরএমপির সংবাদ বয়কটের ঘোষণা “ওসি মাছুমা মুস্তারী সাংবাদিক শত্রু- অবিলম্বে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ফ্যাসিস্ট ওসি ১ যুগ, দিলেন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন মিশেল ব্যাচেলেট

গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন মিশেল ব্যাচেলেট

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সামরিক শাসনামলে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার (১৭ আগস্ট) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মিশেল ব্যাচেলেট। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, তিনি এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা ১৯৭৫ সালের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন কারণ তারা তখন বিদেশে ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল।

জোরপূর্বক নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই অধ্যাদেশের কারণে তাদের বিচার চাইতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তৎকালীন সামরিক সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিল।

মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, তার পরিবারকেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে যখন তার দেশে একটি অত্যাচারী সরকার ক্ষমতায় ছিল।

জাতিসংঘের হাইকমিশনার বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করে ‘গভীরভাবে আলোড়িত’ হয়েছেন, যেখানে জাতির পিতাকে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

বৈঠকে তারা বর্তমান বিশ্ব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এবং একমত হন যে চলমান কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বিশ্বজুড়ে সংকট তৈরি করেছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের নাগরিক তা মিয়ানমার অস্বীকার করে না। তবে, তারা এখনও তাদের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সাড়া দেয়নি। তিনি বলেন, মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কখনো কারো সঙ্গে যুদ্ধ চায় না।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ads

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.