বর্তমানে কালোর চেয়ে বাহারি রঙের চুলই ফ্যাশনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাদামি, বেগুনি, নীল, গোলাপি, লাল, কমলা ইত্যাদি রং দিয়ে অনেকেই এখন চুল রাঙাতে পছন্দ করেন। হেয়ার কালার আপনার লুক অনেকটাই পরিবর্তন করে দিতে পারে।
বর্তমানে চুলে কালার করার চাহিদা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে ঈদের আগে কমবেশি সবাই চুল কাটতে বা চুল রাঙাতে পার্লারে ভিড় করেন। তবে অতিরিক্ত ভিড় সামলে পার্লারে না গিয়ে বরং ঘরে বসে করে নিতে পারেন মনের মতো হেয়ার কালার।
চুলে শ্যাম্পু করে নিন একদিন আগে
যেদিন চুল রং করবেন, তার এক বা দু’দিন আগে চুল অবশ্যই শ্যাম্পু করে নেবেন। তাতে একদিকে চুল পরিষ্কার থাকবে, অন্যদিকে শ্যাম্পুর কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়া চুলের প্রাকৃতিক তেলের আস্তরণও ফিরে আসে।
স্ক্যাল্পে তেল জমে থাকলে রঙের কারণে প্রদাহ হয় না, রংও চুলের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই মিশে যায়। তাতে রং চুলে অনেক বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়।
বেছে নিন পছন্দের রং আর সরঞ্জাম
রং বাছাই করার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না, সময় নিন। চুল হাইলাইট করুন বা পুরো রং করুন, সব সময় উন্নত গুণমানের হেয়ার কালার বেছে নেবেন। রং করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সব হাতের কাছে গুছিয়ে রাখুন।
আপনার লাগবে তোয়ালে, গ্লাভস, রং মেশানোর বাটি, মোটা দাঁড়ার চিরুনি, প্লাস্টিকের ক্লিপ, রং লাগানোর ব্রাশ, সিলভার ফয়েল পেপার আর অবশ্যই হেয়ার কালার।
বাড়িতে চুল রং করার সময় হাতের কাছে রাখুন ময়শ্চারাইজার বা ভেসলিন পেট্রোলিয়াম জেলি। কপালে হেয়ারলাইন বরাবর, কানের চারপাশে আর ঘাড়ে মোটা করে মেখে নিন, যাতে ত্বকে রং লেগে না যায়।
চুল প্রি-লাইটেন করে নিন
স্বাভাবিক চুলের ওপরে হেয়ার কালারের রং ধরে না। তাই হেয়ার কালারের রং বোঝার জন্য আগে থেকে চুলের স্বাভাবিক রং একটু হালকা করে নিতে হয়। তাই কালারিং শুরু করার আগে প্রস্তুতি দরকার। বেশিরভাগ হেয়ার কালারের সঙ্গেই ব্লন্ডার পাউডার আর ডেভেলপার থাকে, যা চুলের রং হালকা করতে সাহায্য করে।