নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের মাদক বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতিরীতি এখন প্রবাদ বচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই নীতির তোক্কায় করেন না খোদ প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা। মাসোহারায় চলছে মাদক ব্যবসা। মাদক আটকের পর তা আবারও বিক্রি করেন অন্য মাদক কারবারিদের নিকট। মাসোহারা দেওয়া রাঘব বোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকলেও চূঁনোপূটি গ্রেফতারে চলে বানিজ্য। রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি রাজশাহী রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল মাহফুজের বিরুদ্ধে আটক মাদক বিক্রির একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। (ফাঁস রেকর্ড সংরক্ষিত)
দীর্ঘদিন যাবৎ আটক মাদক বিভিন্ন মাদক কারবারিদের নিকট বিক্রি করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ফাঁস হওয়া রেকর্ডে ওই ডিবি পুলিশ সদস্য মাদক কারবারি বাঁকির মোড় হার্ড ফাউন্ডেশন এলাকার সেলিমের স্ত্রী মোছা: উম্মাতুন কে বলছে, ওই ভাবি ৩ গ্রাম জিনিস আছে নিবেন , অপর দিকে নারী মাদক কারবারি বলছে, জিনিস দিয়ে আবার ধরবেন নাতো আমাকে, আর মাহফুজ বলছে আরে না, ধরবো না। আপনার ছেলে বিভিন্ন মানুষের কাছে আমার সম্পর্কে উল্টা পাল্টা কথা বলে বেড়ায়। কোন সমস্যা নাই। ওই জিনিস নিবেন, নিলে দিয়ে দিবো। এর আগেও ওই নারীকে বহুবার মাদক দিয়েছে ওই ডিবি সদস্য।
এদিকে এস আই মিজানের বিরুদ্ধেও চন্দ্রীমা থানা এলাকার কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী শ্যামলীর নিকট মাদক বিক্রির অভিযোগ আছে। তিনি আটক হেরোইন বহুবার তার নিকট বিক্রি করেছেন। এছাড়াও তিনি বর্তমানে আটক বানিজ্যের শীর্ষে আছেন। বেলদারপাড়া এলাকার জুয়েল নামে একজনকে মাদক না পেয়েও তাকে আটক করে অর্থ দাবি করেন এস আই মিজান। এরপর জুয়েল অর্থ দিতে না পারায় তাকে পরে দুই পাতা ট্যাপেন্টাডল দিয়ে মামলা দেন। গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ফায়ার সার্ভিস মোড়ের মারুফ নামে একজনকে আটক করেন ডিবি’র আতিক। তার কাছে অর্থ দাবি করা হয়। পরে অর্থ না পেয়ে ৭ গ্রাম হেরোইন দিয়ে মামলা দেওয়া হয়।
একটি ইউনিটে ৩ বছরের বেশি থাকার নিয়ম না থাকলেও কতিপয় কর্মকর্তা ও সদস্য দীর্ঘদিন যাবৎ ওই ইউনিটে থেকে মাদক কারবারিদের সাথে গড়ে তুলেছেন সখ্যতা। ডিবি পুলিশের সদস্য মাহাফুজ, তৌহিদ, আতিক, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাদক স্পর্ট থেকে মাসোহারা উত্তোলন করেন। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এ ইউনিটে কর্মরত। এদিকে গত ২১ এপ্রিল শাহিন নামে এক গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে নিউ মার্কেট এলাকা থেকে আটক করেন এস আই মিজান। তার মানি ব্যাগে থাকা ১৬ হাজার টাকা নিয়ে ৮ পিচ ট্যাপন্টাডল দিয়ে মামলা দেওয়া হয়।
তাঁদের বিরুদ্ধে আইডি বাগানপাড়া কিছু মাদক কারবারির কাছে থেকে মোটা অঙ্কের মাসোয়ারা নিয়ে থাকেন। টাকা না দিলেই ধরে নিয়ে গিয়ে মাদক মামলা দেন। এমন অসাধু ডিবির পুলিশ সদস্যর জন্য সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে পুলিশের।
আইডি বাগান পাড়া এলাকার বুলবুলি, জন, সাইদা, ইমরান, এদের একজনের কাছে থেকে প্রতিমাসে তাদের কাছ থেকে ৫০,০০০/ পঞ্চাশ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকেন। টাকা না দিলেই ধরে নিয়ে গিয়ে মাদক মামলা দিয়ে থাকেন রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা শাখা পুলিশ।
নতুন কখা ডিবি মাহফুজ এখন ডিবি অফিসের সামনেই আটক মাদক ফেন্সিডিল সে নিজেই বিভিন্ন জনের কাছে ১৫০০/১৮০০ টাকায় বিক্রি করছে বলে জানান উম্মাতুন।
এ বিষয় আরএমপি ডিবির কনস্টেবল মাহফুজের সাথে মুঠো ফোনে তার মাদক বিক্রর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয় ডিসি স্যার জানে। আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সঠিক না।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মিডিয়া শাখার দায়িত্বরত আরএমপি পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো: জামিরুল ইসলামকে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, আতিক এস আই নুরনবী ও রবিউলের টিমে কাজ করেন। মাহাফুজ কাজ করেন এ এস আই হান্নানের টিমে। তৌহিদ কাজ করেন এস আই মিজানের টিমে।।