নিউজ ডেস্ক
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন পাঁচ ভারতীয় নাগরিক। বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরাচালানের অভিযোগে সাজা ভোগের মেয়াদ শেষ হলেও বন্দি হস্তান্তরের জটিলতায় মুক্তি মিলছে না তাদের। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হলেও তাদের থেকে আসামি পুশব্যাকের বিষয়ে ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় মেয়াদ শেষেও বন্দি থাকতে হচ্ছে ওই পাঁচ ভারতীয় নাগরিকদের। কারা কর্তৃপক্ষ জটিলতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, তাদের হস্তান্তর বিষয়ে প্রক্রিয়া চলমান আছে। এরইমধ্যে একজনের ব্যাপারে অনুমতি মিলেছে। শিগগিরই তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে। প্রক্রিয়া শেষে অন্যরাও মুক্তি পাবেন। এদিকে, সারাদেশের বর্ডার লাইনে অবস্থিত কারাগারে প্রায় তিন শতাধিক ভারতীয় বন্দি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বন্দির বিষয়টি ভারতীয় দূতাবাসকে জানালেও কোনো সমাধান মেলেনি।
তবে কারা কর্তৃপক্ষ দূতাবাসসহ স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সঙ্গে নিয়মিত চিঠি চালাচালি করছে। ইতোমধ্যে একজনের ব্যাপারে মুক্তির অনুমতি মিলেছে। যেকোনো দিন তাকে প্রক্রিয়া মেনে মুক্তি দেওয়া হবে। এর আগে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের নাগরিক সাবরুদ্দিনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। এরপর তাকে সাজা ভোগের জন্য রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। তার সাজার মেয়াদ শেষ হয় একই বছরের ৮ ডিসেম্বর।
এছাড়াও একই অপরাধে ঈসমাইল শেখ নামের এক ভারতীয়কে এক মাস ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ২০১৯ এর ১১ আগস্ট। মাদক ও চোরাচালান মামলায় সেন্টু শেখকে ৩৩ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয় ১৯৯৫ সালের ৮ ডিসেম্বর। তার সাজাও মেয়াদও শেষ হয় ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু জটিলতা থাকায় মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বছরের পর বছর তারা বন্দিদশা থেকে মুক্ত হতে পারছেন না। তারা এখনও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রত্যাবাসন প্রত্যাশী হিসেবে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আবদুল জলিল জানান, যারা ভারতীয় বন্দি রয়েছেন তাদের নাম ঠিকানা যেগুলো আমাদের দিয়েছে সেটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে ওই দেশের সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন তাদের সঠিক পরিচয় বা আদৌ তারা ওই দেশের নাগরিক কিনা তা যতদিন না সঠিক তথ্য দেয় ততদিন পর্যন্ত তাদের এখানে রাখতে হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি শেষ হলে নিয়ম মেনেই তাদের হস্তান্তর করা হবে।সুত্র:আমাদের রাজশাহী