November 26, 2024, 4:54 am

News Headline :
অবৈধ দখলদার বুলবুল-হিটলার গংদের আড়াই মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ঘাপলা সীমাহীন দূর্নীতির পরও বহাল তবিয়তে মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে কোথাও স্থাপনা করতে না পেরে শেষমেস ভাঙারির দোকানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ: নাছিম রাজশাহীতে আলু ও তেলের দাম বাড়তি রাজশাহীতে ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বললো মহানগর ছাত্রদল প্রধান উপদেষ্টার সাথে খালেদা জিয়ার মতবিনিময় দেশের সকল ক্ষমতার মালিক হবেন জনগণ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে আবাদি জমিতে পুকুর খনন

দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে আবাদি জমিতে পুকুর খনন

নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে দুর্গাপুর উপজেলায় পলাশবাড়ীয়ায় প্রায় ২৪ বিঘা আবাদি জমি কেটে পুকুর খনন করছেন একটি প্রভাবশালী মহল। এই প্রভাবশালী মহল কৃষক লীগের নাম ব্যবহার করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গভীর রাতেই করছেন পুকুর খনন।  প্রভাবশালী মহলের নিজেদের কোনো জমি না থাকায় তারা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে টাকার বিনিময়ে রাতের আঁধারে পুকুর খননের কাজ করেছেন।

৩০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাতে সরেজমিনে গিয়ে উক্ত স্থানে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির চিত্র দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরপর ট্রলারে করে বিভিন্ন ভাটায় চলে যাচ্ছে খননকৃত মাটি।

জানা গেছে, চক্রটির মূলহোতা রোকন ও রবিউল। তারা উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ এই পুকুর খনন যেন মাটি বিক্রির মহাউৎসবের উল্লাস । যেখানে উচ্চ আদালতের সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আছে। সেখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পুকুর খনন অব্যাহত রাখছে ওই প্রভাবশালী মহল। কে এই রোকন যে নিজের জমি না হলেও অন্যের জমি খননের দায়িত্ব নিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রশাসন ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে পুকুরে পরিণত করছে। এমনকি পুরাতন পুকুরগুলি পাড় বাঁধার কথা বলে সেখানকার খননকৃত মাটি বিভিন্ন ভাটায় বিক্রি করে আসছে।

পুকুর খনন স্থলে গেলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, একদিকে পুকুর খননের মাটি বহনকারী গাড়ি রাস্তা নষ্ট করছে। অপরদিকে পাশের আবাদি জমি’র ফসল নষ্ট করছে। ইউএনও, এসিল্যান্ড, থানার ওসিকে ম্যানেজ করে সারারাত পুকুর খননের কাজ চলমান রাখা হয়েছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।

ভেকু ড্রাইভার রোকনের নাম্বরে কল দিলে রোকন মিডিয়া কর্মীদের জানায়, আমি সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করছি । তার কাছে অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন অনুমোদন লাগে না আমাদের আমরা দল করি আমরাই তো সব। অনুমোদন কে দিবে প্রশাসন ম্যানেজ সব ম্যানেজ।

জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে যেয়ে কোন কিছু পাই নাই , কিন্তু এলাকাবাসীর কথায় আমরা জানতে পারি পুকুরের জমিটা দুর্গাপুর ও পবা থানার মাঝামাঝি এলাকায় । এই বিষয়টা জানার জন্য আমরা পবা থানায় ফোন করলে ওসি সোহরাওয়ার্দী তাঁর ফোর্স পাঠায় এবং তারা এসে আমাদের জানান এটা দুর্গাপুর থানার মধ্যে পড়ছে। দুর্গাপুর থানার কোন ফোর্স না পাঠিয়ে ওসি বলেন আমি ফোর্স পাঠাইছি কোন কিছু চোখে পড়ে নাই।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার স্বীকৃতি প্রামানিক বলেন, আমার বিষয়টি জানা নেই। তবে আপনারা আমাকে তথ্য দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.