June 23, 2025, 12:55 am

News Headline :
বাগমারায় কৃষিজমিতে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন জমকালো আয়োজনে রাজশাহী শাহমখদুম থানা বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত রামেক হাসপাতালের শৌচাগারে পড়ে ছিলো করোনা রোগীর মৃতদেহ রাজশাহী প্রেসক্লাব অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবিতে জেলা প্রশাসকের বরাবর সাংবাদিকদের স্মারকলিপি প্রদান জোরকরে চেয়ারম্যানকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ওল্ড রাজশাহী ল্যাবরেটরিয়ান্স সোসাইটি’র বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বোয়ালিয়া মডেল থানার, এবার ঘুষ গ্রহণের অডিও ভাইরাল ঈদ শুভেচ্ছা জানালেন রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন সিরাজগঞ্জে ৬ বছরের শিশু’কে ধর্ষণের পর হত্যা
ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মার মরণদশা

ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মার মরণদশা

নাহিদ ইসলাম,নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মার কূল আছে, কিনারাও আছে। তবে নেই উত্তাল সেই জলরাশি। উজানে ভারত ফারাক্কা বাঁধ দেওয়ায় ৪৯ বছরে পদ্মা হারিয়েছে তার স্বাভাবিক নাব্য। একসময়ের প্রমত্তা পদ্মা এখন যেন খালে পরিণত হয়েছে। ফারাক্কা চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ যে পরিমাণ পানি পায় তা পদ্মা নদীর জন্য অতি সামান্য।পানি না থাকায় এর বিরূপ প্রভাবে রাজশাহী অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশসহ জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৫ সালে চালু হয় ফারাক্কা বাঁধ।১৯৭৭ সালে ভারতের সঙ্গে প্রথম গঙ্গার পানি চুক্তি সই হয়। সঙ্গে যুক্ত ছিল গ্যারান্টি ক্লজ। সামরিক সরকার এরশাদের আমলে এ চুক্তি দুবার নবায়ন হয়। ১৯৮২ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে একই বছর সমঝোতা স্মারক সই হয়। তবে বাদ দেওয়া হয় গ্যারান্টি ক্লজ। যেখানে ছিল বাংলাদেশের হিস্যার ৮০ শতাংশ পানি পাওয়ার নিশ্চয়তা। সবশেষ ১৯৯৬ সালে ৩০ বছর মেয়াদি যে গঙ্গা চুক্তি করা হয় তাতেও রাখা হয়নি গ্যারান্টি ক্লজ। চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ১০ দিন পরপর ৩৫ হাজার কিউসেক পানি উভয় দেশ পাবে।

তবে সরেজমিন দেখা গেছে, একসময়ের উত্তাল পদ্মা এখন পানিশূন্য। এরসঙ্গে সংযুক্ত ২৭টি শাখা নদী অস্তিত্ব সংকটে।

২০২৫ সালে শেষ হচ্ছে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা চুক্তি। তার আগেই পদ্মাসহ যৌথ নদী বাঁচাতে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে বরেন্দ্র অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে অন্তত দুই কোটি মানুষ।

নদী গবেষক মাহাবুব-সিদ্দীকী বলেন, পঁচাত্তরের পর থেকে পদ্মার ক্ষতি শুরু হয়েছে। এখন চরম হুমকির মুখে। গঙ্গায় উত্তাল পানি থাকলেও খরা মৌসুমে পদ্মা থাকে পানিশূন্য। ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মার ২৭টি শাখা নদীও অস্তিত্ব সংকটে।

ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মার মরণদশা

রাজশাহী পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, পদ্মার মূল পয়েন্টে যে পরিমাণ পানি তাকে সেখান থেকে শুকনা মৌসুমে ৩৫ হাজার কিউসেক করে উভয় দেশ পানি পায়। কিন্তু ভরা মৌসুমে পদ্মার কতটি গেট খুলতে পারবে সেই বিষয়ে চুক্তিতে কিছু উল্লেখ নেই। পদ্মা রক্ষায় আগামী চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বাংলাদেশকে।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাবরিনা নাজ বলেন, কূটনৈতিক দুর্বলতায় পদ্মা ক্রমেই মরা নদীতে পরিণত হচ্ছে। নদীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের আবহাওয়া ক্রমেই রুক্ষ হয়ে আসছে। যা মরুকরণের অশনি সংকেত।

Please Share This Post in Your Social Media

ads

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.