নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন হড়গ্রাম পূর্ব শেখপাড়া গ্রামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে লাশ খড়ি রাখার ঘরের ছাউনির বাশে ঝুলানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে নিহতের স্ত্রী ও তার ভাই মুনতাজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
নিহত ব্যাক্তির নাম জামাল উদ্দিন (৪৫)। একই গ্রামের কৃষক মৃত কাচন আলীর ছেলে ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ২মে আনুমানিক দুপুর ২:৩০ টার দিকে জামালের লাশ তার বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরের একটি খড়ি ঘরের চালের ছাউনির বাঁশ থেকে লাস উদ্ধার করেছে নিহতের স্ত্রী জরিনা ও তার ভাইয়ের বৌ আরিফা। যে ঘরে লাশটি পাওয়া যায় সে ঘরটির উচ্চতা ৫ফুট ৬ ইঞ্চি আর লাশের উচ্চতা ৫ফুট ৬/৭ ইঞ্চি এমনকি লাশের পায়ের নিচে একটি কাপড় পাওয়া যায় যা কোন রকম এলোমেলোও ছিলোনা।
নিহত জামালের স্ত্রী জানায়, ২-৩ বছর আগে জামালের সঙ্গে জমি কেনা বেচা হয় কোন এক জমি ব্যাবসায়ীর সাথে জামাল জমি কেনার পরে জানতে পারে জমির কাগজপত্র কোন কিছুই ঠিক নাই, এই বিষয়কে কেন্দ্র করে জামাল একবার ষ্টোক করেছিলেন এরপর শুরু হয় তার মানসিক সমস্যা অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছে অনেক ঔষধ খাওয়ানোর পরেও কিছুতেই সুস্থ্য হয়নি নিহত জামাল।
নিহতের স্ত্রী আরোও জানান, জামাল যাকে তাকে পাগলের মতো অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতো, বারবার আত্নহত্যা করতে যেতো, যেদিন মারা যায় সেদিন বাসায় কেউ ছিলোনা আমি গেছিলাম পাশে আমার জা এর বাড়ি এসে চোখ পড়ে খড়ি ঘরে দেখি জামালের লাশ ঝুলে আছে দেখেই তারাতারি তার গলা ছুটিয়ে নিচে রাখি এবং পুলিশকে খবর দেই।
অথচ এলাকাবাসীরা জানান, জামাল তো আমাদের সাথে ভালো আচরণ করতো পাঁচ ওয়াক্ত মসজিদে নামাজ আদায় করতো কিন্তু এভাবে যে মারা যাবে সে এটা অযৌক্তিক এর পেছনে কোন কাহিনী লুকিয়ে আছে।
অন্যদিকে নিহত জামালের ভাই মুনতাজের বৌ আরিফাকে জিজ্ঞাসায় আত্মহত্যার ঘটনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কথা এড়িয়ে বলে এটা আত্নহত্যা আপনারা যা ইচ্ছা লিখেন পুলিশও জানে আসলে কি হয়েছে সবকিছু লিখে নিয়ে গেছে আর পোসমোডেম রিপোর্ট এইতো সব জানা যাবে, এমনকি রাতের বেলা আত্মহত্যার তথ্য জানতে চাওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ভুয়া বলেও আখ্যায়িত করেন।
জানতে চাইলে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি (অফিসার ইনচার্জ) এমরান জানান, আত্মহত্যার বিষয়টা আমি জানি তদন্ত চলছে পোসমোডেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারছিনা।