নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে বড় কারণ এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীতে ট্রাফিক আইন মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
আরএমপির পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নির্দেশনায় বুধবার (৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমচত্বর,গৌরাঙ্গা সিএনজি স্ট্যান্ড,বাস টার্মিনাল, ভদ্রা বাস স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে আরএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ।
এসময় আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ হেলেনা আক্তার বলেন,রাজশাহী মহানগরীতে যানজট এবং যানবাহনের গতিসীমা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ও নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হলে ট্রাফিক আইন মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী,চালক এবং পথচারীর দায়িত্ব-কর্তব্য সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগ ।
সড়ক দুর্ঘটনার হার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কমিয়ে এনে যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ হেলেনা আক্তার, রজাশাহী বিআরটিএর পরিদর্শক মোশারফ হোসেন ,পরিদর্শক (টিআই প্রশাসন) মাহমুদুন নবীসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ।
উল্লেক্ষ্য গত ৮ মে থেকে কার্যকর হচ্ছে যানবাহনের গতিসীমার নতুন আইন। এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাসের গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার, মোটরসাইকেল ৬০ কিলোমিটার এবং ট্রাক চলবে ৫০ কিলোমিটার গতিতে।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং জেলা শহরের মধ্যে মোটরসাইকেল ও ট্রাক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। অন্যান্য যানবাহনের জন্য এই গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।
যদি কেউ গতিসীমা লঙ্ঘন করে তার বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন অমান্যকারীকে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।