পুঠিয়া: কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি এলাকায় একই রাতে দুই বাড়িতে তিনটি গরু ও দুটি খাসি চুরির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৭ জুন) দিবাগত রাতের যেন কোনো সময় চুরির ওই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় ছোট-বড় চুরি লেগেই থাকে। সকালে আদিবাসী জগন্নাথ মুর্মুর বাড়ি থেকে কান্নার চিৎকার শুনে আমরা এসে দেখি একটা ধেনু (গাভিন) গরু একটি একটি ষাড় গরু, এবং একটি বড় খাসি গোয়াল ঘর থেকে চুরি হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পরে আমরা জানতে পারি আসাদের বাড়ি থেকেও আরো একটি ষাঁড় গরু ও কুরবানীর জন্য কেনা খাসি চুরি হয়।
উক্ত বিষয়ে জানতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আদিবাসী জগন্নাথ মুর্মু ও আসাদ দুই জন তাদের গরু ও খাসি হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
উল্লেখ্য যে, রাজশাহীর পুঠিয়া ওই উপজেলায় মাঝেমধ্যেই ঘটে চুরির ঘটনা। পাশাপাশি ঘটে ছিনতাই এর মত ঘটনা। কখনো কখনো শোনা যায় ছিনতাইকারীর হাতে প্রান হারাচ্ছেন অনেকেই। কোথাও বাড়ি ইট খুলে গরু চুরি আবার কোথাও বাড়িতে মানুষকে জিম্মি করে বাড়ি লুটপাট এমন ঘটনা ঘটেছে ওই উপজেলায়। এসব চুরি বা ছিনতাই এর ঘটনায় তেমন একটা তথ্য উদঘাটন করতে পারেনা স্থানীয় প্রশাসন। এসব কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা যায়। গত কয়েকদিন আগে দিনে দুপুরে কারিতাস নামের এক এনজিও কর্মীর প্রায় এক লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। পরে একজন ছিনতাইকারী কে ধরে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ঈদকে সামনে রেখে চুরির ঘটনায় ওই বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের টহল প্রতিনিয়তই চলছে। আমাদের আন্তরিকতার কোন অভাব নেই। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশের পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে। তাহলে চুরি ছিনতাই কমে যাবে।