নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর তানোর পৌরসভার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কর আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে কর আদায়কারী মনিরুল ইসলাম (কচি) এর বিরুদ্ধে। কর আদায়কারী কর্মকর্তা হয়েও বছরের পর বছর কর আদায়ের কাজে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ নিয়ে ঠিকমত করও আদায় করেননা এই মনিরুল ইসলাম (কচি)। এতে সরকার যেমন হারাচ্ছে রাজস্ব তেমনই হুমকির মুখে পৌরসভা।
এছাড়াও মনিরুল ইসলাম ওরফে কচির বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ ও রয়েছে। একের পর এক যুবতি মেয়েদেরকে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইতিমধ্যে সে ৩টি বিয়েও করেছেন তার মধ্যে প্রথম এবং তৃতীয় স্ত্রী’র সাথে তার ডিভোর্স হয়েছে।
আরোও জানা যায়, রাজশাহী লক্ষিপুর এলাকায় চিকিৎসা করাতে আসা বিভিন্ন সহজ সরল মানুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় এবং বিভিন্ন আবাসিক হোটেল,ক্লিনিক,ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে কিশোরগ্যাং এর কিছু সদস্য নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে এই মনিরুল ইসলাম (কচি)’র বিরুদ্ধে।
জানা যায়, তানোর পৌরসভার কর আদায়কারী কর্মকর্তা এই মনিরুল ইসলাম (কচি)’র বাড়ি রাজশাহীর লক্ষীপুর এলাকার জিপিওর পিছনে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম (কচি)’র সরকারী নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে ফোন কেটে দেন।
পৌরসভার বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পৌরবাসী অনেকেই কর দিচ্ছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর পৌরসভার মেয়র ইমরুল হক বলেন,যাদের পৌরকর বাকি আছে তাদেরকে কর দিতে নানান ভাবে উৎসাহ করা হয় এবং পৌর এলাকাজুড়ে মাইকিংও করে জানানো হয়।
কর আদায়কারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম এর নানা অভিযোগসহ পৌরসভায় কর আদায়ে অনীহা থাকায় পৌরসভার স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত হচ্ছে কিনা এবিষয়ে মেয়র ইমরুল হক আরোও বলেন,মনিরুল ইসলাম দায়িত্বহীনভাবে কাজ করে নিজের কর আদায়ের কাজে ফাঁকি দিয়ে অন্যকে দিয়ে সে কাজ করায় এবং নিয়মত সে অফিসও করেনা।