নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা জিউপাড়া ইউনিয়নের ঝলমলিয়া ঘোষপাড়া এলাকায় পরকীয়ার জের ধরে এক ব্যক্তি তার বউকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে যখন করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাতটার সময় ওই ঘটনা ঘটে।
স্ত্রীকে আঘাত করা ওই ব্যক্তি পুঠিয়া উপজেলার গন্ডগোহালী এলাকার মৃত ডাক্তার জোবায়ের রহমানের ছেলে মিঠন সরকার ওরফে জিয়া। আহত ওই নারী নাটোর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের জোবার উদ্দিনের মেয়ে মাহফুজা বেগম (৩৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে মাহফুজাকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন জিয়া। তবে বিভিন্ন সময় পরকীয়ার জের ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। গত ৮ মাস আগে তাদের পরকীয়ার জের ধরে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর দুজনেই আলাদা জায়গায় থাকতো। এরই মাঝে আবারো দ্বিতীয় বিয়ে করেন জিয়া। অন্যদিকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঝলমলিয়ার ঘোষপাড়ায় থাকতেন আহত মাহফুজা বেগম। হঠাৎ আজ সন্ধ্যা সাতটার সময় জিয়া তালাক কৃত বউয়ের বাসায় গিয়ে ওঠার চেষ্টা করে। এ সময়ে মাহফুজা বেগম বাড়িতে ঢুকতে না দিলে জিয়ার সঙ্গে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ দিতে থাকে।
এ সময় তালাককৃত স্ত্রী মাহফুজা ও তার মেয়ে জুই খাতুন মারাত্মকভাবে আহত হয়। এ সময় তাদের চিৎকার চেঁচামেচিটে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং তাদের উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মাহফুজা ও তার মেয়ে জুঁইকে রামেক হাসপাতালে রেফার করে। পরে স্থানীয়রা জিয়াকে ঘরের ভিতরে আটকে রেখে ৯৯৯ কল দিলে পুঠিয়া থানা পুলিশ এসে জিয়াকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনা এ ঘটনায় পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান জানায়, ৯৯৯ মাধ্যমে জানতে পেরে সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে জিয়াকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।