November 23, 2024, 10:23 pm

News Headline :
রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে কোথাও স্থাপনা করতে না পেরে শেষমেস ভাঙারির দোকানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ: নাছিম রাজশাহীতে আলু ও তেলের দাম বাড়তি রাজশাহীতে ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বললো মহানগর ছাত্রদল প্রধান উপদেষ্টার সাথে খালেদা জিয়ার মতবিনিময় দেশের সকল ক্ষমতার মালিক হবেন জনগণ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন দালালের ফাইলে আগে সই করেন রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের ডিডি
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে উত্তাল রাবি ক্যাম্পাস

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে উত্তাল রাবি ক্যাম্পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা হাইকোর্ট কর্তৃক পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে ও কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে টানা ৩ ঘন্টা যাবত এ আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।

প্রথমে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বিভিন্ন হল থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আন্দোলনে জড়ো হতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। পরে সকাল সাড়ে ১০ টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন তারা।

এসময় মুষলধারে বৃষ্টি নামলেও তা উপেক্ষা করে ছাতা নিয়ে আন্দোলন চলমান রাখতে দেখা যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। টানা তিন ঘন্টা আন্দোলন শেষে আজকের মতো ইতি টানেন তারা। তবে আগামীকাল আবারও শুরু হবে এ কোটা সংস্কার আন্দোলন এমনটাই জানান শিক্ষার্থীরা।

এসময় বিভিন্ন স্লোগান দেন- ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’।

এসময় ৪ দফা দাবি জানান তারা। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকুরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করতে হবে; কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাকোটায় শূন্যপদ পূরণ করতে হবে; ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে। উল্লেখ্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে, প্রতি জনশুমারির সাথে অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান কোটার পুনর্মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাজনিন ফাতেমা বলেন, আমরা এখানে এসেছি যাতে এই মুক্তিযোদ্ধা কোটা উঠে যায়। আমরা চাইনা কোটা দিয়ে যোগ্যতা সম্পন্ন জায়গায় যাক। এই জায়গায় যাওয়ার অধিকার শুধু মেধাবীদের। আমরা চাই মেধার যথাযথ ব্যবহার হোক। তবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের ব্যাপার আলাদা। তারা কোটার যোগ্য। তবে মুক্তিযোদ্ধারা তো আর পিছিয়ে পড়া জনগন নয়, তাই আমরা চাই এই কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি উঠে যাক।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেওয়া ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিক মঈন বলেন, কোটার মতো একটি চরম বৈষম্য আমাদের ওপর পুনরায় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বৈষম্য আমাদের পূর্বপুরুষরাও মানে নি, আমরাও মানব না। স্বাধীন দেশে বৈষম্যের শিকার হওয়া কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বৈষম্যের শিকারই যদি হব, তাহলে যারা আজ বৈষম্য তৈরি করছে তাদের পিতারাই কেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন? ৫৬ শতাংশ কোটা থাকলে মেধাবীদের রিকশা চালানো ছাড়া উপায় থাকবে না। সরকার তাহলে আমাদের রিকশা কিনে দিক, নয়তো কোটা সংস্কার করুক। কোটা সংস্কার না করে আমরা ঘরে ফিরব না।’

আন্দোলরত শিক্ষার্থী আমান উল্লাহ খান বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়

বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তৎপর ছিল, আছে এবং থাকবে। একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারি চাকুরিতে মেধাবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের সমান সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করার কোনো বিকল্প নেই। বৈষম্যমূলক কোটাপদ্ধতির সংস্কারের লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সর্বদা সোচ্চার রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.