নিউজ ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠতে পারলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, তার দল ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের যেসব ঘটনা ঘটেছে তা কিছু লোকের পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টার ফল। এসব হামলা কোনো ‘পরিকল্পিত এজেন্ডা’র অংশ নয়।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) খুব অসুস্থ। তিনি হাসপাতালে আছেন। তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। বহুবিধ রোগের কারণে এই দেশে তার চিকিৎসা ঠিকঠাক চলছিল না এবং আমরা তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিচার বিভাগ ও সরকারের কাছে কয়েকবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম, কিন্তু তা হয়নি… চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি এখন ভ্রমণের উপযুক্ত নন। তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তিনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে তিনি অবশ্যই নির্বাচনে লড়বেন।’
বিএনপি নেতা জানান, তার দল যেকোনো সময়ে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে অন্তর্র্বতী সরকারের নির্বাচন আয়োজন করতে আরো সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ‘পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে কলুষিত হয়ে গেছে এবং তারা একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার অবস্থানে নেই। তাই তাদের নির্বাচন ব্যবস্থায়ও কিছু সংস্কার আনতে হবে।
শুক্রবার রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছিলেন, তার মা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। তাকে বন্দুকের মুখে অপসারণ করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিজেই রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বলেছেন, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। কোন জবরদস্তি বা অন্যকিছু ছিল না… এটা ছিল একটা বিপ্লব। যখন লক্ষাধিক জনতা হাসিনার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখন তার নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী তাকে বলেছিল তার কাছে দুটি বিকল্প রয়েছে: এখানে থাকুন ও গণক্ষোভের মুখে পড়ুন অথবা দেশ ছেড়ে চলে যান। শেষ মুহূর্তে, তিনি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’