নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী পদে বদলী করে ঘুষ লেনদেন করার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাদশাহ মিয়া’র বিরুদ্ধে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাদশাহ মিয়া যোগদানের পর থেকে হয়ে উঠেছেন বেপরোয়া। রাজশাহী জেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অধীনে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী পদে রয়েছেন মোট ৯জন। এসব উপসহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত ব্যক্তিদের বিভিন্ন অযুহাত এবং কৌশলে বদলীর ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাদশাহ মিয়া।
জানা যায়, রাজশাহীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাদশাহ মিয়া ২০২২সালের মার্চে যোগদান করেন যোগদানের পর থেকে উপসহকারী পদে কর্মকর্তাদের বদলীজনিত বিষয়ে আলাপে জড়ান। তিনি এক পর্যায়ে আর্থিক সুবিধা নিয়ে স্বপদে বহালসহ উপজেলা পরিবর্তন বদলিতে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে থাকেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। ঘুষ না পেলেই উপসহকারী পদে কর্মকর্তাদের রাজশাহীর বাইরে বদলী করা হবে বলেও চাপ প্রয়োগ করেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাদশাহ মিয়া।
অনুসন্ধানে জানা যায় রাজশাহী জেলার একজন উপসহকারী প্রকৌশলী ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পুঠিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরে থাকা অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাদশাহ মিয়ার সাথে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মোহনপুরে বদলী হন।
এছাড়াও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাদশাহ মিয়া নিজ ইচ্ছায় বদলীর বিষয় চাপ প্রয়োগ করে ঘুষ ব্যানিজ্যের বিষয়ে সকল উপসহকারী প্রকৌশলীদের মধ্যে এক প্রকার ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী বাদশাহ মিয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিকবার বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন আর রশিদকে অবগত করা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন আর রশিদ এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাদশা মিয়া জানান, আমি যোগদানের পরে ৮জন উপসহকারী প্রকৌশলীকে সরকারি নিয়ম মেনে বদলি করেছি। আমার নামে উপসহকারী প্রকৌশলী পদে বদলী বানিজ্যর অভিযোগটি সঠিক নই।