নিজস্ব প্রতিবেদক: ইলিশের দাম আকাশ ছোঁয়া।কেনার সামর্থ্য নেই নিম্নআয়ের মানুষের। তবে এই মাছ খাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা। তাদের উদ্যোগে সকাল থেকে বাজারে মিলছে কাটা ইলিশ তবে এক টুকরো নয় ৪০০-৫০০ টাকায় কিনতে হবে ২৫০ গ্রাম।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর সাহেববাজার মাছপট্টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কাটা ইলিশ বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ ও ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দরা।
ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের নেতারা জানান, বাংলাদেশে এই প্রথম উদ্যোগ, যা রাজশাহী থেকে শুরু হচ্ছে। কেজি হিসাবে মাছের দাম ধরা হবে। কেটে তার অংশ হিসেবে যে দাম পড়বে, ক্রেতার কাছ থেকে তাই নেয়া হবে। চাইলেও কেউ এক টুকরোও নিতে পারবেন। তবে বিক্রেতারা বলছেন, মাছ কেটে বিক্রি করলে দাম বেশিই নিতে হবে। আর ক্রেতাদের অভিযোগ, কাটা মাছের দাম অস্বাভাবিক বেশি।
শামিউল আলম নামের এক ক্রেতা বলেন, এটি ক্রেতাদের সাথে তামাশা করা হচ্ছে।এগুলো না করে মাছের দাম কমাতে হবে।কারণ ছোট মাছ কেটে তারা বড় মাছের দাম হাঁকছেন। অপর ক্রেতা সৌরভ হোসেন, ইলিশের দাম যেভাবে বাড়ছে এতে কিনে খাওয়া কষ্ট সাধ্য, এমন উদ্যোগ আমারা কিছু পিচ হয়তো কিনে খেতে পারবো কিন্তু দাম বেশি।
মাছ বিক্রেতা আবদুর রহিম বলেন, গোটা মাছ আর কাটা মাছ একদামে বিক্রি করলে লোকসান হবে। তাই কাটা মাছের দাম বেশি। ২৫০ গ্রামের কম বেচলেও লোকসান হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, ‘এক পিস মাছ বিক্রি করতে গেলে মাথাটা অবিক্রীত থেকে যাবে। এ জন্য বিক্রেতারা এক পিস মাছ বিক্রি করতে রাজি নয়। আমরা সমাধান দিয়েছি যেন, মাথাটা ছোট আকারে কাটা হয় এবং কেউ এক পিস নিলেও যেন তাকে মাথার ছোট একটা পিস দেওয়া হয়। তাহলে মাথাও বিক্রি হবে, ক্রেতারাও খুশি হবে। আমরা চাই সবাই ইলিশের স্বাদ পাক।
উল্লেখ্য, রাজশাহীর বাজারে আকার অনুযায়ী ইলিশের দাম আলাদা। ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার ১১০০ টাকায়, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার ৭০০ টাকায় এবং এক কেজি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে।