November 24, 2024, 2:09 am

News Headline :
রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে কোথাও স্থাপনা করতে না পেরে শেষমেস ভাঙারির দোকানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ: নাছিম রাজশাহীতে আলু ও তেলের দাম বাড়তি রাজশাহীতে ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বললো মহানগর ছাত্রদল প্রধান উপদেষ্টার সাথে খালেদা জিয়ার মতবিনিময় দেশের সকল ক্ষমতার মালিক হবেন জনগণ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন দালালের ফাইলে আগে সই করেন রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের ডিডি
পুলিশের প্রতিহিংসায় বলির পাঠা সাংবাদিকরা

পুলিশের প্রতিহিংসায় বলির পাঠা সাংবাদিকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহীতে সাংবাদিকের উপর হামলা ও মামলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ উঠেছে। বাঘায় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আবুল হাশেমের উপর হামলা ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মামলা হলেও আসামীদের আটক করেনি পুলিশ। মামলা নিতেও করেছেন গড়িমসি।

এদিকে গতকাল শনিবার রাতে দূর্গাপুর উজান খলসির নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দূর্গাপুর থানার নাশকতার মামলায় ফাঁসানো হয় সাংবাদিক শাহাবুদ্দিনকে। সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা পত্রিকায় কর্মরত।
বাঘার ঘটনায় জানা যায়, সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারিরা পূর্ব শত্রুতার জেরে সাংবাদিক আবুল হাশেম ও তাঁর পরিবারের উপর হামলা চালানো হয়। এঘটনা আবুল হাশেমের মাথায় ৫ টি ও তাঁর পিতা সাজদার হোসেনের মাথায় ১২ টি সিলাই দেওয়া হয়। আসামীরা এখনো হুমকি ধামকি দিচ্ছে সাংবাদিক পরিবারকে। পুলিশের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়।

দূর্গাপুরের ঘটনায় জানা যায়, গতকাল শনিবার রাতে দূর্গাপুর উজান খলসি এলাকার নসির উদ্দিন মোল্লার ছেলে সাংবাদিক শাহাবুদ্দিনকে বাসা থেকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে মামলায় আসামী করা হয়। ওই নাশকতা মামলার এজাহারে তাঁর নাম উল্লেখ্য ছিলো না। অজ্ঞাত আসামী নামে তাঁর নাম ঢুকিয়ে আদালতে চালান করা হয়। শুধুমাত্র এএসআই আমিনুলের কথায় তাকে আটক করা হয়। আমিনুল দীর্ঘদিন থেকে দূর্গাপুর থানায় কর্মরত। পুকুর খনন নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে এএসআই আমিনুলের সঙ্গে ঝামেলা ছিলো শাহাবুদ্দিনের।

আটকের পর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চলে নাটক। আটকের পরে সদুত্তর দিতে পারিনি পুলিশ। কেনো তাঁকে আটক করা হলো? এমনকি সেসময় ফোনও রিসিভ করেননি থানার ওসিসহ উদ্ধর্তনরা।

এ ঘটনা দুটিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) রাজশাহী শাখা।

রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুটি ঘটনায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের প্রতিহিংসার প্রতিফলন ঘটেছে। পুলিশ প্রতিহিংসা থেকে পৃথক দুটি ঘটনায় হামলার আসামী গ্রেফতার না করা এবং কারণ ছাড়াই সাংবাদিককে আটক করা হয়। এঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র (এডিশনাল এসপি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ ভাবছি না। প্রতিহিংসাও করছি না। এটা আপনাদের ভূল ধারণা। সঠিক তথ্য প্রমাণ ছাড়া আমরা কাউকে গ্রেফতার করছি না।

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.