নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের গগনবাড়িয়া ও চুনিয়াপাড়া গ্রাম সংলগ্ন দুই শতীনা নামক একটি খাস জলাশয় দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জবরদখল করে রেছে। সরকারি জলাশয়টি দখলমুক্ত করে উন্মুক্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ওই জলাশয়ের সামনে গ্রামের শতশত মানুষ জড়ো হয়ে এই মানববন্ধনে অংশ নেয়। তারা জলাশয়টি দখলমুক্ত করে কৃষকদের সার্থে ব্যবহারের জন্য আজীবন উন্মুক্ত রাখার দাবি জানান।
গ্রামবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ কৃষক এই বিল থেকে পানি সেচ ও ধানের মৌসুমমে ইরিবোরো বীজ রোপন করতে পারছি না। এখানে গগনবাড়িয়া গ্রামের খাস জমি আছে ১০ বিঘা আর সাধারণ মানুষের জমি আছে প্রায় ১০ বিঘা। এই মোট ২০ বিঘা জমি দীর্ঘদিন থেকে দখল করে রেখেছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা। এরা হলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রান ও বস্ত্র বিষয়ক সম্পাদক সাহিনুর রহমান, বদর সরদার ও রুস্তুম আলী।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ওই গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, জলাশয়ের পাশে আমার দলিল ভুক্ত ১৭ শতাংশ জমি জোর করে দখল করেছে তারা। এছাড়া জনগনের দলিল ভুক্ত ১০ বিঘা জমি দখলে করেন। কৌশল করে বিঘা প্রতি কিছু টাকা দিবো বলে সাদা কাগজে আমাদের থেকে স্বাক্ষর করে নেই। পরে টাকা চাইতে গেলে আজ দিবো কাল দিবো বলে ঘোরাতে থাকে। বলে আমি আওয়ামী লীগের একজন নেতা, ত্রান ও বস্ত্র সম্পাদক। আমার পক্ষ্যে আছে এমপি আব্দুল ওয়াদুর দারা।
জলাশয়ের পাশেই বাড়ি মোতালেব হোসেনের। দীর্ঘদিন থেকে এখানেই বাবার ভিটায় বসবাস তার। তিনি বলেন, আমার জায়গা জমি নাই। এই বাড়িটাই শেষ সম্বল। দিনে দিনে এই জলাশয়ে আমার জমি ভাংতে শুরু করে কিন্ত আমি টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলে। হুমকি-ধামকি দেন। তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের এক মাস পরে আমাকে কিছু টাকা দিয়ে গেছে। আমি চাই এই জায়গা দখল মুক্ত করে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হোক ।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাহিনুর রহমানের মুঠোফনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি । তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন মুঠোফোনে জানান, এখুনি বিস্তারিত বলা সম্ভব না। দীর্ঘদিন ধরে এই জলাশয় একেক সময় একেক জনের দখলে ছিলো। আমি তদন্ত করছি, তদন্ত শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।