পুঠিয়া: রাজশাহীর পুঠিয়ায় নারীদের জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধক এইচপিভি টিকা নিয়ে একই স্কুলের ৬শিক্ষার্থী সহ ৭ জন অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকে জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা কর্মসূচি পালন করা হয় উপজেলার প্রতিটি স্কুলে।
ইউনিসেফের তথ্য মতে, জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার জন নারী মারা যায়। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এক ডোজ এইচপিভি টিকাই যথেষ্ট। এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন এবছরের ২৪ অক্টোবর থেকে দেশের ৭টি বিভাগে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, ও সিলেটে শুরু হয়েছে। ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী এবং ১০-১৪ বছর বয়সী স্কুল বহির্ভূত কিশোরীরা বিনামূল্যে এই টিকা পাবে।
জানা যায়, উপজেলার দৈপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এর ছয় জন মেয়ে শিক্ষার্থী জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসা নিয়ে তারা বাড়ি চলে যান। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন, সুখী খাতুন, ফাতেমা আক্তার, ইকরা খাতুন, সোনালী আক্তার, মিষ্টি খাতুন ও সুমাইয়া আক্তার এছাড়াও ভাড়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুইটি খাতুন নামের আরো একজন শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আল-আমিন সরকার বলেন, অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে টিকা নিলে সমস্যা হবে এমন নয়, দেখা যায় অনেক বাচ্চা সকালে না খেয়ে আছে। একটু ভীতু প্রকৃতির হয়ে থাকে মেয়ে বাচ্চারা। এই সমস্যাটাকে বলা হয় ম্যাস ফোবিয়া। এই টিকা নিলে কোন সমস্যা হবে না অন্তত বাচ্চাদের আর ও অনেক উপকার হবে। তাই ভয়ের কিছু নেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হাসান শাওন বলেন, আমি যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট একটি মিটিংয়ে রাজশাহীতে আছি। বিষয়গুলো শুনেছি খোঁজখবর নিচ্ছি বাচ্চাদের চিকিৎসাও দেওয়া হচ্ছে। তারা এখন ভালো আছে। আমি যেতে পারিনি। মোট সাতজন অসুস্থ হয়েছিল তাদের চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। একজনকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাচ্ছি।