নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবায় হাট রামচন্দ্রপুরে বিএনপি দলীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার। সেই সাথে থানা থেকে মামলা তুলে নেয়াসহ প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন ভুক্তভোগী হাটরামচন্দ্রপুর এলাকার মৃত মো. মোল্লার ছেলে আব্দুল গফুর। এবিষয়ে পবা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আব্দুল গফুর।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দোসর মন্ডল মোড়ে অনুরাগ কমিউনিটি সেন্টারে স্ত্রী কানিজ ফাতেমার উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী আবদুল গফুর বলেন, গত ৫ অক্টোবর মো. বুলবুল স্বর্ণকারের কাছে থেকে পবা থানার ভবানীপুর মৌজায় জেল নং-১৬৪, আর এস-৭৫৯, সাবেক দাগ নং- ৩৫৮০, বড়গাছী ইউনিয়ন, পবায় ১২ কাঠা জমি ১০ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দামদর হয়। আমি ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে জমির মালিক বুলবুলের সাথে বায়নানামা চুক্তি করি। পরদিন জমি রেজিস্ট্রি করে বাকি টাকা দেব। রেজিস্ট্রি করার দিন ৬ অক্টোবর বুলবুল জমির মালিক আমাকে ফোন দিলে আমি সেখানে যাই।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন, পারিলা ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ পিতা: বাদল।পবা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মুস্তাকিন রহমান ওরফে ছোট মুস্তাক পিতা: তোতা। পবা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম পিতা কাছের আলী। আইয়ুব আলীর ছেলে মো. নাসির উদ্দীন, ১নং ওর্য়াড পারিলা ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ইদ্রিস আলী পিতা ইসমাইল।আ. কুদ্দুসের ছেলে দেলোয়ার হোসেন এবং আশরাফুল ইসলাম সর্ব সাং- রামচন্দ্রপুর হাট,থানা পবা ও অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আমার কাছে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে।
আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। পরে সকাল ১১ টায় ঘটনার সময়ে রামচন্দ্রপুর হাটের ওপর আমার কাছে থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা এবং অগ্রণী ব্যাংকের চেকের পাতায় পঞ্চাশ হাজার টাকা লিখে নেই। সেই সাথে বলে আমি থানায় গেলে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় তাঁরা।
এরপর আমি পরিবার-পরিজনদের সাথে আলোচনা করে গত ২০ অক্টোবর পবা থানায় একটি লিখত আভযোগ করি। এই অভিযোগ তুলে নিতে এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা ও চাঁদার টাকা ফেরত চাই আমি। সেই সাথে তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমি নিজেও বিএনপি দল করি। কিন্তু তাঁরা বিএনপি দলের কর্মী হয়েও এ সমস্ত চাঁদাবাজির সাথে জড়িত। এমনও প্রমাণ আছে লীজ নেয়া পুকুরের মালিককে মাছ ধরতেও দেয়নি তাঁরা। তাদের দাবি টাকা দিতে হবে তাছাড়া মাছ ধরতে দেবে না। অতি দ্রুত প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি।
আব্দুল গফুর আরও বলেন, বিএনপি নেতাদের ভয়ে কাছের মানুষেরাও এখন অনেক কিছু অস্বীকার করছে। এসকল চাঁদাবাজদের কাছে কেউ নিরাপদ নয়।
জমি বিক্রেতা বুলবুল জানান, আব্দুল গফুর টাকা পেতেন। সেই হিসেবে আরও কিছু টাকা যোগ করে তিনি আমার কাছ থেকে জমি কিনেছেন। টাকা লেনদেন সব সম্পন্ন আছে। এখন কে বা কারা তাঁর কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে জানিনা।
এদিকে অভিযুক্তরা জানান, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। বুলবুল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে গফুর জমি কেনাবেচা বাবদ টাকা লেনদেন করেছেন।
এবিষয়ে পারিলা ইউনিয়নের বিএনপি নেতা রেজাউল করিম বলেন, টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলা শুনেছি। মীমাংসার জন্য বসার কথাও বলেছি।
পবা থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, আব্দুল গফুর থানায় অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত ছাড়া বিস্তারিত বলা সম্ভব হচ্ছে না।