আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ধর্ষণ, আর্থিক জালিয়াতিসহ বহু মামলার আসামি ডোনাল্ড ট্রাম্পই হলেন আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট। ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বী কামালা হ্যারিসকে হারিয়ে দ্বিতীয়াবারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলেন এই রিপাবলিকান।
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হয়ে বেশকিছু অনন্য নজির গড়েছেন ট্রাম্প। তিনিই আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েও নির্বাচনে জিতলেন।
এ ছাড়া অভিশংসিত হওয়ার পরেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলেন তিনি।
এসবের বাইরেও নির্বাচনে লড়ে হেরে যাওয়ার পর হোয়াইট হাউজে ফিরে যাওয়া ইতিহাসের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হলেন ট্রাম্প। এর আগে, এমন রেকর্ড ছিলো শুধু গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের। ১৮৮৮ সালে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার চার বছর পর আবার জয়ী হয়েছিলেন তিনি।
নির্বাচনে জিতলেও পথটা মসৃণ ছিলো না ডোনাল্ড ট্রাম্পের। অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারি, সরকারি নথি গোপনের অভিযোগ, ক্যাপিটাল হিলে হামলা করাসহ নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন তিনি।
এ ছাড়াও, চারটি ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হয়ে এবং একটিতে দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্প। এসবের রেশেই নির্বাচনি প্রচারের সময় দুইবার হত্যাচেষ্টার শিকার হন তিনি।
একইসঙ্গে, অভিবাসন নীতির সবসময়ই বিরোধীতা করে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিবাসনের বিরোধিতা করে একদিকে সমালোচিত হয়েছেন ট্রাম্প, অন্যদিকে নির্দিষ্ট একটা শ্রেণির কাছে জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন সমানভাবে। যারই সুফল পেলেন নির্বাচনের ভোটের ময়দানে।
মুসলিমদের নিয়েও বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন আমেরিকার নতুন এই প্রেসিডেন্ট। সন্ত্রাস এবং মুসলিম সম্প্রদায়কে একত্র করে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জানিয়ে আসছিলেন তিনি।
নানা বিতর্ককে পিছনে ফেলে আমেরিকার ইতিহাসে অনন্য নজির গড়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামনের দিনগুলোতে বিতর্কিত এই নেতার, রাজনৈতিক দর্শন কী হবে? সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে পুরো বিশ্ব।
অন্যদিকে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও, আমেরিকার ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে পারলেন না কামালা হ্যারিস। গাজা যুদ্ধ নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান এবং নারী প্রার্থী হওয়ায় পরাজিত হয়েছেন কামালা হ্যারিস। এমন ধারণা করছেন অনেকেই