নিউজ ডেস্ক: রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ, সবজি ও মুরগির দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমেছে। কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মুরগির দাম। এ ছাড়া শীতের সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে। তবে এখনও চড়া আলু ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম।
২২ নভেম্বর শুক্রবার রাজশাহীর খড়খড়ি বাজার, শালবাগান বাজার,নওদাপাড়া বাজার,কোট বাজার,সাগরপাড়া বাজার ও সাহেববাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে মানভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি, ছোট পেঁয়াজসহ পেঁয়াজপাতা বাজারে আসায় এই নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে।
খুচরা বাজারে মানভেদে আলু বিক্রি হয়েছে ৮৯-৮৫ টাকায়। সেই হিসেবে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।এছাড়া নতুন আলুর দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।নতুন আলুরদাম মান ভেদে১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আলুর দাম না কমার কারণ নিয়ে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগার পর্যায়ে আলুর দাম এখনও বেশি। এ কারণে খুচরা বাজারেও পণ্যটির দাম কমেনি। হিমাগার পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর তদারকি না থাকায় আলুর দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এতে পণ্যটির দাম কিছুটা কমেছে।
এদিকে ডিমের ডজন চড়া দাম ১৫৫ টাকায় স্থির থাকলেও কোথাও কোথাও পাঁচ টাকা কমে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদরের তথ্য বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে মানভেদে ৮৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়।
এদিকে শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় দাম কমতে শুরু করেছে। তিন সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি শিম ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আজ ১০০-১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি৪০- ৫০-টাকা, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৪০-১৬০ টাকা, মুলা ৫০-৫৫ টাকা, শালগম ১০০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা, পেঁপে ৪৫-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭০-৮০ টাকা ও লাউ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য সবজি ও শাক আগের দামে স্থিতিশীল রয়েছে।
আলুর পাশাপাশি বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বাড়তি। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা ও খোলা পাম তেল ১৬২-১৬৩ টাকায় বিক্রি হয়। এক মাসের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ১৬-১৭ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বেড়েছে।