শাহজাদপুর প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নে কাশিনাথপুর বাজার সংলগ্ন ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় ৮টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।সংশ্লিষ্টরা নতুন করে ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে থাকলেও বাস্তবে তার কিছুই হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে আছে কাশিনাথপুর বাজার- সরাতৈল সড়কের ব্রিজের পশ্চিমাংশটি।
বন্যার পানির স্রোতে ব্রীজের পশ্চিমাংশের সংযোগ সড়ক ভেঙে দেবে যাওয়ায়, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা হাট, বাজারের পথচারী ও শিক্ষার্থীসহ ৮টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষকে। যাতায়াতের বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই বাঁশের সাকো দিয়ে এই ভাঙা ব্রিজ ব্যবহার করতে হচ্ছে তাদের।
জানা যায়,কাশিনাথপুর হুরাসাগর নদীর ক্যানেলে ২০১৮ সালে দূর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করা হলেও নির্মাণের ৩ বছরের মাথায় ব্রীজটি ভেঙে যায় এবং সাধারণ পথচারী ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
তবে অটোরিকশা, ভটভটিসহ ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করত। বর্তমানে ব্রীজটির পশ্চিম ও পূর্ব অংশে ভাঙার পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় ওই এলাকার সরাতৈল, ব্রজবালা, চর কৃষপুর, বেড়াডাঙা রুপপুর,গ্রামের ১০ হাজার মানুষকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভুক্তভোগী লোকজন নিজ উদ্যোগে ভাঙা সেতুটির ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাওয়া-আসা করলেও বর্তমানে সেই সাঁকোটি পোচে নড়বড়ে হয়েছে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোকজন হেঁটে চলাচল করছেন।তাই ভাঙা এই ব্রীজটি যেকোনো মুহর্তে ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে সাধারণপথচারী বা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে ৮টি গ্রামের বাসিন্দাদের নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়া ও কাশিপুর বাজার থেকে পন্য নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরাতৈল গ্রামের নবী শেখ জানান , এই ব্রীজটি ৮টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম। ব্রীজের মাঝখানে দেবে গেছে, পশ্চিমাংশ ভেঙে নুইয়ে পরেছে। প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়া কঠিন হয়ে পরছে। তাই দ্রুত ব্রীজটির স্থলে নতুন ব্রীজ স্থাপন করা জরুরী।
স্থানীয় লোকজন বলেন, ব্রীজটির বেহাল অবস্থা। এই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ভাঙা ব্রীজে মানুষ খুব কষ্ট করে চলাচল করছে। ব্রীজটি পুনঃনির্মাণ করা এখন সময়ের দাবী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয় একটি ব্রিজ মাটি সরে যাওয়ায় ভেঙে যায়।জন সাধারনের চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। তার পক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রগৌসল অধিদপ্তরের ইতি মধ্যেই নতুনভাবে ব্রিজ স্থাপন করা হয়। তার প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।প্রকল্পের অনুমোদন হওয়ার সাথে সাথে কাজ করা হবে।