নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোড়াগাছি বিলে প্রায় ১০০ বিঘা তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই এলাকার স্থানীয় কৃষকরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর বারোটার দিকে রাজশাহীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তোভোগী কৃষকরা।
কৃষকদের পক্ষে বক্তব্য মো: রফিকুল ও শ্রী গনেশ বলেন, পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের গোড়াগাছি বিলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমির মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ও জিম্মি করে এবং সরকারী নীতিমালা লংঘন করে অবৈধভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করছেন প্রভাবশালী হান্নান সহ কয়েকজন। এ ব্যাপারে আমরা পুঠিয়া উপজেলার প্রত্যেকটি দপ্তরে গিয়েছি কোন প্রকার সুরাহা না পেয়ে আমরা পুকুর খনন বন্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে পুকুর খনন বন্ধে ১৪৪/১৪৫/১৩৩ ধারায় নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত । এরপরেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুকুর খনন অব্যাহত রেখেছে প্রভাবশালীরা।
কৃষকরা আরো বলেন এই হান্নান ও তার বাহিনী আ.লীগের আমলে আ.লীগ নেতাকর্মীদের পুকুর খনন করে দিয়ে ছিল। এখন বিএনপি ও বিএনপি নেতাদের কাছের মানুষদের পুকুর খনন করে দেওয়ার চুক্তি করছে।
শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের হোসেন আলি বলেন, আগে আ.লীগের নেতারা পুকুর খননের ব্যাপারগুলি নিয়ন্ত্রণ করত। এখন বিএনপির কিছু নেতা নিয়ন্ত্রণ করছে। পুকুর খননকারী দালালদের নিকট মানুষ জিম্মি হয়ে পরেছেন।
এছাড়া অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা একাধিকবার প্রশাসনকে জানালেও এখনো কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।
পুকুর খননকারীরা ফসলি জমি নষ্টের পাশাপাশি বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপের স্থাপনা উপড়িয়ে ফেলে দিচ্ছে ।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সহকারী প্রকৌশলী হানিফ শিকদার পুঠিয়া, তিনি বলেন এই পুকুর খনন বিষয়ে আমি ইউএনও স্যারকে অনেকবার বলেছে তিনি কোন ধরনের ব্যবস্থা না নিলে আমাদের কি করার আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা একে এম নুর হোসেন নির্ঝর বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে হতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কিন্তু রাতের-আধারে পুকুর খননের কাজ করছে। আমরা রাতে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করতে পারচ্ছি না। ১৪৪ ধরা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব থানা পুলিশের।
এই অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান ভুক্তভোগী কৃষকরা।