নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অনিয়ম দূর্নীতিসহ ডিলার নিয়োগ বাতিল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন’কে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১১ মার্চ (মঙ্গলবার) দুপুর দুই ঘটিকার সময় দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, দূর্গাপুর উপজেলার ১নং নওপাড়া ইউনিয়নের নাফিস এন্টার প্রাইজ এর প্রোপাইটর সাব্দুল আলী জুয়েল, সিয়াম এন্টার প্রাইজের প্রোপাইটর আনিসুর রহমান, শ্যামপুর বাজার কেন্দ্রের প্রোপাইটর মোফাজ্জল হোসেন, মেসার্স অনু টেডার্স এর আফাজ উদ্দিন, ৬নং মাড়িয়া ইউপি এর মেসার্স সরকার এন্টার প্রাইজের, শামসুল হক সরকার, মেহেদী এন্টার প্রাইজ এর আঃ সালাম খন্দকার, ৭নং জয়নগর ইউনিয়নের মেসার্স হিমেল স্টোর এর মোস্তাফিজুর রহমান, ৪নং দেলোয়াবাড়ি ইউপি এর সাইদুর এন্টার প্রাইজের সাইদুর রহমান, ৫নং ঝালুকা ইউপি দুলাল এন্টার প্রাইজ এর মোঃ দুলাল, ৩নং পানানগর ইউনিয়ন এক লিটার এন্টার প্রাইজের জাহাঙ্গীর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের দলীয় নেতৃবৃন্দ, ভুক্তভোগী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দূর্গাপুরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন, উপজেলা ফুড অফিসার মোহাম্মদ আলী, উপজেলা এলজিডি অফিসার মাসুক-ই-মোহাম্মদ, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আ.ন.ম রাকিবুল ইউসুফ এর মাধ্যমে আমাদেরকে ডিলার নিয়োগ দিবে বলিয়া বড় বড় মাছ, খেজুরের গুড়,গরুর দুধ, ডিম,নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার করে নিয়েছে।
গত দুই সপ্তাহ পূর্বে ওই তিন কর্মকর্তা আমাদের বলেন, যেহেতু খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন সেহেতু আপনাদেরকে মাথাপিছু ১ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে বলে দাবি করেন। আমরা টাকা দিতে না পারার কারণে আমাদেরকে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয় নাই। আমরা ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন এর কাছে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিরর অবৈধ ডিলার নিয়োগে বাতিলের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছি এবং মানববন্ধনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে ডিলার নিয়োগ অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্য কারনে অবৈধ ডিলার নিয়োগ বাতিল করন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিনকে অপসারণের দাবি জানিয়েছি।
এসব বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন। তাই তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারকেও একাধিকবার ফোন দিলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।