November 24, 2024, 12:38 pm

News Headline :
রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে কোথাও স্থাপনা করতে না পেরে শেষমেস ভাঙারির দোকানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ: নাছিম রাজশাহীতে আলু ও তেলের দাম বাড়তি রাজশাহীতে ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বললো মহানগর ছাত্রদল প্রধান উপদেষ্টার সাথে খালেদা জিয়ার মতবিনিময় দেশের সকল ক্ষমতার মালিক হবেন জনগণ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন দালালের ফাইলে আগে সই করেন রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের ডিডি
তানোরে ঝুকিপুর্ন হয়ে পড়েছে মুন্ডুমালা মাদ্রাসা মার্কেট

তানোরে ঝুকিপুর্ন হয়ে পড়েছে মুন্ডুমালা মাদ্রাসা মার্কেট

 

তানোর প্রতিনিধি

রাজশাহীর তানোরে মুন্ডুমালা মাদ্রাসার মার্কেটের কিছু দোকান উচ্ছেদ করায় পুরো মার্কেট ঝুকিপুর্ন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোন ধরনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পৌর কর্তৃপক্ষ বুলডোজার দিয়ে দোকান উচ্ছেদ করায় ঝুকি পূর্ন হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন প্রিন্সিপাল মাওলানা আমির হোসেন। এমন ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এডিসি ও জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের আমিন ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার ঘটনাস্থল মাপজোগ করেন। কিন্তু এসব না করে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করে গোলচত্বর কারসার্থে নির্মান করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের এমন অভিযোগ মানতে নারাজ পৌর মেয়রসহ কর্মকর্তারা। কিন্তু গোল চত্বর নির্মানের বরাদ্দ নিয়ে শুরু হয়েছে ইদূর বিড়াল খেলা।

সরেজমিনে গত ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ঐতিহ্যবাহী মুন্ডুমালা কামিল মাদ্রাসায় গেলে প্রিন্সিপাল মাওলানা আমির হোসেন জানান, জায়গাটি মাদ্রাসার, এজন্য মার্কেট নির্মান করা হয়েছিল। কোন নোটিশ মাইকিং ছাড়াই সন্ত্রাসী কায়দায় মার্কেটের কয়েকটি দোকান ঘর বুলডোজার দিয়ে ভাঙ্গেন। এটা ভোটের প্রতিহিংসা। এজন্য মেয়র সাইদুর খামখেয়ালী পনা করেছেন। কেউ চাবেনা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করে কিছু করতে। আমি এসবের প্রতিকার চেয়ে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক( ডিসি) মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডিসি শিক্ষাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরকারি বে সরকারি ও ভুমি অফিসের সার্ভেয়ারেরা মাপজোগ করেছেন। কিন্তু এসব তো উচ্ছেদের আগে করার নিয়ম। আমাদের না জানিয়েই দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ করে মালামাল পৌর চত্বরে রাখা আছে।

তবে তিনি অভিযোগের কপি দেখালেও দেননি। কারন হিসেবে জানান মাপজোগের প্রতিবেদনের পর জানানো হবে।

মাদ্রাসা থেকে বেরিয়েই গোল চত্বরের কাজের কাছে ছিলেন পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল ও ঠিকাদারের ছেলে, তাদের কাছে উচ্ছেদ কাজ ও মাদ্রাসার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা সাব জানান মেয়রের কাছে বা পৌরসভায় আসেন।

পৌরসভায় গেলে মেয়র সাইদুর রহমান জানান, সকল নীয়ম মেনে ডিসি মহোদয়ের উপস্থিতে উচ্ছেদ হয়েছে। এখন নানা জনে নানা কথা বলছে। আমরা জেলা পরিষদের কাছে অর্থের জন্য আবেদন করেছি, তারা না দিলে পৌরসভার রাজস্ব থেকে দেওয়া হবে। তবে দরপত্রের বিষয়ে কিছুই বলেন নি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কোন নাকি নোটিশ পান নি জানতে চাইলে জেলা পরিষদের কয়েকটি নোটিশ দেখান তিনি।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, জেলা পরিষদের জায়গায় কোন মার্কেট নির্মান করা হয়নি। বরং মাদ্রাসার জায়গার মধ্যে রাস্তা পড়েছে। মাদ্রাসার নামে ৫ শতাংশ জায়গা লীজ দেওয়ার কথা কিন্তু মেয়র হতে দেন নি। ১০ ফিট জায়গা মাদ্রাসার সেটা উচ্ছেদ করা হয়েছে আর ছয় ফিট জায়গা ঝুলন্ত অবস্থায়। মাদ্রাসার মার্কেটের নয়টি দোকান উচ্ছেদ করার কারনে আরো ২০ টি দোকান চরম ঝুকিতে আছে।
এদিকে জেলা পরিযদের একটি নোটিশে দেখা যায়, মুন্ডুমালা বাজার মোড়ের সাদিপুর মৌজার অন্তর্গত আরএস ২ নম্বর খতিয়ানে আরএস ২৩৪ দাগে অবৈধ ভাবে দোকান নির্মান করা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে না সরালে ভুমি ইমারত( দখল পুনরুদ্ধার) অর্ডিন্যান্স ১৯৭০ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নোটিশ জারি করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসান। স্বাক্ষর ও তারিখ সন্দিহান।

জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসান জানান, নোটিশ গত ফেব্রুয়ারি মাসে জারি করা, অভিযোগ হাতে পায়নি পেলে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে, জেলা পরিষদের জায়গায় দোকান ছিল উচ্ছেদ হয়েছে কিন্তু মেয়র সাইদুর জেলা পরিষদের জায়গা লীজ নিয়ে দ্বিতলা মার্কেট অফিস চেম্বার দোকান ঘর নির্মান করেছেন এবিষয়ে ব্যবস্থা কি জানতে চাইলে অতীতে কি ভাবে হয়েছে জানিনা, তবে তদন্ত করে দেখা হবে।
জেলা প্রশাসক(ডিসি) আব্দুল জলিলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

মুন্ডুমালা কামিল মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা আইসিটি জয়া মারীয়া পেরেরা জানান, অভিযোগের বিষয়ে ডিসি মহোদয় অবগত, সেখানে সীমানা নিয়ে জটিলতা আছে, নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাপজোগ হওয়ার পর প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগীয় কমিশনার এনডিসি( অতিরিক্ত সচিব) জি এম এস জাফরউল্লাহ জানান, অভিযোগের কপি পায়নি অফিসে আসেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.