রাজশাহী: তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করাসহ ১০ দফা দাবিতে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ আধাবেলা ধর্মঘট চলছে।
ফলে রাজশাহীর বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহন চালকেরা।
রোববার সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পেট্রোল পাম্প থেকে তেল বিক্রির সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন পেট্রোল পাম্পের মালিক ও কর্মচারীরা।
পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, সওজ অধিদফতরের ইজারা ভূমির মাশুল আগের মতো বহাল রাখা, নবায়নকালীন সময়ে নির্ধারিত ইজারা মাশুলের পে-অর্ডারসহ আবেদন নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতরে জমা দিলে সেটিকে নবায়ন হিসেবে গণ্য করা, বিএসটিআইয়ের পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ডিসপেন্সিং ইউনিট স্ট্যাম্পিং ও পরিমাপ যাচাই কার্যক্রম পরিচালনা, আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফিস ও নিবন্ধন প্রথা বাতিল।
এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ঘর বা খোলা জায়গায় অবৈধভাবে মেশিন স্থাপন করে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ, ডিলারশিপ ছাড়া বিপণন কোম্পানির সরাসরি তেল বিক্রি বন্ধ, ট্যাংক-লরি চালক সংকট মোকাবিলায় চালকদের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স ইস্যু প্রক্রিয়া সহজ করা, গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে রাস্তায় ট্যাংকলরি যত্রতত্র না থামানো। তেলের ডিপো গেটে কাগজপত্র পরীক্ষার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করাসহ এবং আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করার দাবি জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ রাজশাহী শাখার তথ্য মতে, রাজশাহীতে ৫০টি পেট্রোল পাম্ম আছে। এছাড়াও তেল পরিবহনের জন্য ১০০টি গাড়ি আছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছ, রোবাবার সকাল থেকেই নগরীর সবগুলো পেট্রোল পাম্প বন্ধ। যানবাহন চালকেরা পাম্পে এসেও ফেরত গেছেন তেল না নিয়ে। অনেকে আবার পড়েছেন ভোগান্তিতেও।
নগরীর গুল গফুর পেট্রোল পাম্পের তেল তিনি গেছেন মিশুক মনির। তিনি বলেন, মোটরসাইকেলে তেলে নাই। ভাবলাম অফিসে যাবার আগে তেল তুলে নেই। এসে দেখি ধর্মঘট। কী আর করার দেখি সামনে কোথাও থেকে বেশি দামে তেল কিনতে হবে। তবে এখন ভয় হচ্ছে গাড়ি যাতে রাস্তায় বন্ধ না হয়ে যায়। তা না হলে ভোগান্তি চরমে যাবে।
একই অবস্থা শালবাগান পাম্পের। সেখানেও মানুষ ঘুরে যাচ্ছেন। সেখানে তেল নিতে এসছেন গাড়ি চালক আশরাফ আলী। তিনি বলেন, মালিক তেল তুরতে পাঠিয়েছে। সকাল থেকে ৪টি পাম্প ঘুরেও তেল পায়নি। এখন বাধ্য হয়ে গ্যাস নিতে হবে।
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাাক সৈয়দ অনিসুর রহমান শিমুল বলেন,দাবি আদায়ে গত ১২ ই মে সংবাদ সম্মেলন করে ১২ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন তারা। এর মধ্যে দাবি আদায় না হওয়ায় ২৫ মে আধা বেলা প্রতীকী কর্মবিরতির পালনের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি এটি। আমারাও রাজশাহীতে এটি পালন করছি। আজ দুপুর ২টায় এটি তুলে নেওয়া হবে। তবে আমাদরে দাবি না মানা হলে আমরা আগামীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।