এসময়ে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংগঠক ফোরাম এর আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ ক্রীকেট বোর্ড ঢাকার সাবেক পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ শামসুল হুদা (কিসলু), রাজশাহী জেলা ও বিভাগীয় ক্রীকেট কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাজু ও সাধারণ সম্পাদক সান এবং আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদ এর আহ্বায়ক শাকিলা ফরহাদ বানু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের উৎসব ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার আরিফুজ্জামান সোহেল, রাজশাহী স্কেটিং ক্লাবের গাউসুজ্জামান মঈন, রাজশাহী জেলা ও বিভাগীয় ক্রীকেট কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসনাত হোসেন জন, ক্রীড়া সংগঠক ফিরোজ, রিপন, জীবন ও রকি, আমিরুল ইসলাম হাবীব ও সৈয়দ মাহমুদ, খেলোয়ার ইজারুল ইসলাম কাকন ও ইয়াসিন অনতুসহ অন্যান্য খেলোয়ার নেতৃবৃন্দ, ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়ারগণ।
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন রাজশাহী অঞ্চলের খেলাধুলা তথা ক্রীড়াঙ্গনকে গতিশীল করতে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার চলমান কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন এডহক কমিটি করা হয়। কিন্তু ঘোষিত এই এডহক কমিটি রাজশাহী ক্রীড়ামোদী জনগনের আশা আকাংখার প্রতিফলন হয়নি। কমিটিতে আওয়ামী লীগ দোসরারা স্থান পেয়েছে। এর ফলে ক্ষুব্ধ রাজশাহীর ক্রীড়াপ্রেমী সহ জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের জনগণ।
তারা আরো উল্লেখ করেন বিগত সময়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার বরাবর রাজশাহী জেলা ও বিভাগীয় ক্রিকেট কল্যাণ সমিতি এবং ক্রীড়া সংগঠক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারের সাথে বৈঠকের পর এডহক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল আওয়ামী লীগের ও আওয়ামী লীগ পন্থী কোন ব্যক্তি ক্রীড়া সংগঠক চলমান এডহক কমিটিতে স্থান দেয়া হবে না।
অথচ গত ১৯ জুন প্রকাশিত বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটিতে একাধিক আওয়ামী লীগের দোসর, অর্থদাতা এবং আন্দোলন সংগ্রামে জড়িত এবং আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গকে সম্পৃক্ত করে এডহক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এডহক কমিটিতে ৫ আগষ্টের চেতনা বিরোধী আওয়ামী লীগ দোসরদের মধ্যে রয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট, সাইদুল ইসলাম, তহিদুল হক তহিদ, কে বি ডি আমিনুল ইসলাম ও ক্রীড়া সাংবাদিক না হয়েও ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে স্থান পেয়েছেন বিতর্কিত সাংবাদিক জিয়াউল গনি সেলিম।
এই সকল আওয়ামী লীগের দোসর দ্বারা পুনরায় এডহক কমিটি গঠন করা রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার খেলাকে স্থগিত করে দেওয়া হয়। রাজশাহী জেলা ও বিভাগীয় ক্রিকেট কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বর্তমান এডহক কমিটি থেকে বিতর্কিত আওয়ামী লীগ দোসর ও সমর্থকদের নাম বাদ দিয়ে তাদের জায়গায় গণ অভ্যুত্থানের পক্ষে শক্তির পরিচ্ছন্ন ক্রীড়া সংগঠক ও সমর্থকদের নাম অন্তরভূক্ত করাসহ সাত কার্যদিবসের মধ্যে বাতিল করে এডহক কমিটি পূনর্গঠনের জোর দাবী জানান তারা।